ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ সরকারিকরণ চেয়ে রিট

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পুরান ঢাকার বাহদুর শাহ পার্কের পাশেই ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকে সরকারিকরণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

জনস্বার্থে রোববার (৪ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোটের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিট আবেদনে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে জাতীয়করণে কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে না জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। রুল জারি করার পর তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কলেজের যত ব্যয়ভার আছে তা সরকারকে বহন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটের বিবাদীরা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, মেয়র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় ১০০ বছর বয়সী হাসপাতাল এখনও সরকারি করা হয়নি। সেখানে ৫০০-৬০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫-৬ বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা সরকারিকরণে বাধা দিচ্ছে, কারণ সরকারি হলে শিক্ষার্থীরা ফ্রি লেখাপড়া করবে, চেয়ারম্যান পদ থাকবে না, দলীয়করণ ও বাণিজ্য বন্ধ হবে বলেও জানান আইনজীবী। এখানে সংবিধানের ৭, ১৫, ২৭, ৩১ ও ৪০ স্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও জানান আইনজীবী।

আইনজীবী বলেন, প্রত্যেক মেডিকেল কলেজের একটি হাসপাতাল থাকতে হয়। সেখানে একক সরকারি ব্যবস্থাপনাও থাকতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে হাসপাতাল সরকারি হলেও কলেজটি বেসরকারিই রয়েছে। অথচ সরকারের সেখানে অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কলেজের নামে বেসরকারিভাবে ছাত্র ভর্তি করে লাখ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠানকে কলেজসহ জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024440288543701