ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজ বাতিল করার দাবি উঠছে কেন?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবীতে গত পাঁচদিন ধরে টানা বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। দুইদিন ধরে টানা বিক্ষোভে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনে তারা তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই)  এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবরিনা সুলতানা বলছেন, "অনেক সময় আমাদের শিডিউল ক্লাস হয় না। শিক্ষকরা সাত কলেজে ভাইভা নিতে যান, তাদের পরীক্ষার খাতা দেখেন।''

''আমাদের বিভাগের একজন শিক্ষক সাত কলেজের পরীক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই আমাদের যেকয়টি ক্লাস নেয়ার কথা ছিল সেগুলো নিতে পারেননি। এখন আমরা সিলেবাস শেষ না করে তো পরীক্ষা দিতে পারছি না"। প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলছিলেন।

এসব দাবিতে টানা পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতদুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে তারা। তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সব একাডেমিক এবং প্রশাসনিক

২০১৭ সালে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

কিন্তু কয়েকমাস আগে এই সাত কলেজের একাংশ শিক্ষার্থী দাবি করে যে, তারাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে চায়। এই দাবিতে তারাও বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলছিলেন, একদিনে তারা যেমন সেশন জটে পড়ছেন অন্যদিকে তাদের পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।

মি. রহমান বলছিলেন, "এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সাথে একটা তামাশা শুরু করছে। আমাদের কলেজে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে সবাই ফেল করেছে , একজন পাশ করেছে। একটা ক্লাসে সবাই বাজে ছাত্র কীভাবে হয়?"

তিনি আরো বলছিলেন "তারা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) আমাদের ঠিক মত মূল্যায়ন করে করে না। আমাদের খাতা ফেল করে দেয়। আমার সাথে যে বন্ধুরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের কলেজে ছিল, তারা এখন বের হয়ে যাচ্ছে অথচ আমাদের কোন অগ্রগতি নেই"।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, একই প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা সম্পন্ন করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য অসম্ভব হয়ে পরছে। আর তার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028810501098633