ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। তারা দুজনই জব্দ তালিকার সাক্ষী। 

বুধবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন আদালতে মজনু হাজির ছিল। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।

গত ৯ জানুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় আসামি। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে মজনু কারাগারে রয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই শিক্ষার্থী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাস স্টপে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034370422363281