দেড়শ বছর পুরনো স্কুল ভাঙলো নাসিক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি |

নারায়ণগঞ্জে প্রায় দেড়শ বছর পুরনো একটি বিদ্যালয়ের দোতলা ভবন ভেঙে ফেলেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (২০ মে) সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ছিল বলেই ভবনটি ভেঙে ফেলেছেন নাসিক কর্মকর্তারা।

এর আগে, শনিবার (১৯ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো একটি দোতলা ভবন নাসিকের ভেকু দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল শ্রেণিকক্ষ যেখানে পাঠদান দেওয়া হতো এবং নিচতলার একপাশে ছিল স্টোর রুম ও আরেক পাশে ছিল স্কুলের সব শিক্ষার্থীদের জন্য রান্না ঘর। রোজার মাস উপলক্ষে স্কুলটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। 

স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য আহসান হাবিব অভিযোগ করেন, স্কুলটি বন্ধ থাকায় অসৎ উদ্দেশ্যেই এ ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমান নাসিক মেয়রের বাবার নামে নির্মিত আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগারটির জন্যই দেড়শ বছরের পুরাতন এ ভবন ভেঙে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, আমরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছিলাম যেন ভবনটি ভাঙা না হয়, কারণ তার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল। এতোদিন কোনো সমস্যা হলো না হঠাৎ কি সমস্যা হলো যে স্কুল ভবন ভাঙতে হবে? এ ধরনের কাজ আসলেই নিন্দনীয়, আমরা শিক্ষক, গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।

নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী জানান, স্কুলের দুই শতাংশ জমি নাসিকের। আরএস, সিএসসহ সব কাগজপত্র রয়েছে। নাসিক তার প্রয়োজনে জায়গাটি চাইতেই পারে। তা ছাড়া জমিটির ব্যাপারে বার বার স্কুলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা চিঠি পাওয়ার পর নাসিক মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ  করেছি। আমাদের প্রতিনিধি দল গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে এসেছে এবং তাকে অনুরোধও করেছেন যেন দেড়শ বছরের পুরনো ভবনটিকে আইনগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। যেহেতু ভবনটি অনেক দিনের পুরনো তাই এটি রাখার জন্য মেয়রের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে এটি ভাঙা সমীচীন হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড - dainik shiksha ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি - dainik shiksha ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট - dainik shiksha মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা - dainik shiksha অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল - dainik shiksha ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030307769775391