নয় বছর ধরে বন্ধ রাজশাহী পলিটেকনিকের দুই ছাত্রাবাস

রাজশাহী প্রতিনিধি |

শহীদ মোনায়েম ছাত্রাবাসের সামনের আঙিনা ঝোপ-জঙ্গলে ভরা। হাঁটু পর্যন্ত বেড়েছে জঙ্গল। জঙ্গল ডিঙিয়ে ভবনের মূল ফটকের কাছে গেলে চোখে পড়বে লতাপাতা জড়ানো গ্রিল। ভবনের জানলাগুলোয় উইপোকার সারি। ভিতরের আসবাবগুলোতেও আছে উইপোকার বাসা। দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর ধরে ছাত্রাবাসটি বন্ধ থাকায় এমন হাল।

শুধু শহীদ মোনায়েম ছাত্রাবাস নয়, রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে দুটি দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর ধরে বন্ধ। এ কারণে সেখানে বসতি গড়েছে উইপোকা আর ঝোপ-জঙ্গল। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী। নতুন করে দুই শিফটে ভর্তি হচ্ছেন ৮০০ শিক্ষার্থী।

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এখন ছাত্রাবাসগুলোর যে অবস্থা, তাতে মেরামতের জন্য টাকার প্রয়োজন। ৩০ লাখ টাকা চেয়ে একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে দেয়া হয়েছে। টাকা পেলেই কেবল সংস্কার শেষে ছাত্রাবাসগুলো চালু করা সম্ভব।

২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তার ও ভর্তিসংক্রান্ত চাঁদাবাজিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর মধ্যে সংঘর্ষে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী, পলিটেকনিক ছাত্রমৈত্রীর সহসভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি নিহত হন। এর পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ইনস্টিটিউটটি। কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস শুরু হলেও আর খোলেনি দুটি আবাসিক ছাত্রাবাস। প্রথমে তিনটি ছাত্রাবাসই বন্ধ ছিল। তবে দুই বছর আগে ছাত্রীদেরটি খুলে দেয়া হয়। নিহতের ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে ছাত্রাবাসগুলো খুলে দিলেও শিক্ষার্থীরা বসবাস করতে পারবেন না।

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্রাবাসগুলো খুলে দিলেও সেখানে থাকতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। কারণ, কোনো আসবাবপত্র নেই। দুটি ছাত্রাবাসের আসবাবপত্র দিয়ে ছাত্রীনিবাসটি খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নতুন করে দুটি ছাত্রাবাসের জন্য আসবাবপত্র কিনতে হবে।

বন্ধ ছাত্রাবাস খুলতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রাবাস খুলে দেয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই - dainik shiksha একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ - dainik shiksha অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা - dainik shiksha সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে - dainik shiksha শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ - dainik shiksha এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে - dainik shiksha যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034160614013672