প্রকৃত মেধাবীদের আমরা কতটা মূল্যায়ন করে থাকি?

মাছুম বিল্লাহ |

আমি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেছিলাম ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। তারপর যোগদান করলাম ক্যাডেট কলেজে। প্রথম পোস্টিং ছিল সিলেট ক্যাডেট কলেজে। সিলেট থেকে আমাকে বদলি করা হলো কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে এবং সবশেষ মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ছিলাম। ক্যাডেট কলেজ শিক্ষকতা জীবনে প্রথমে চার সপ্তাহের একটি প্রশিক্ষণ হয়েছিল ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। তখন একজন অধ্যাপক তার প্রশিক্ষণকালীন ক্লাসে একটি কথা বলেছিলেন, `Cadets are peculiar kind of animals. You will have to be very very tactful to deal with them.’ আমরা তখন সবাই তরুণ প্রভাষক । কথা দুটি আমাদের প্রথম দারূন আহত করেছিল কেন ’দেশের মেধাবী সন্তান ক্যাডেটদের পিকিউলার অ্যানেমাল বলেছিলেন ঐ শিক্ষক ( সহযোগী অধ্যাপক ও হাইস মাষ্টার)। তারপর ধীরে ধীরে ক্যাডেট কলেজ এবং বাইরের জীবন ও প্রতিষ্ঠানে দেখলাম আসলে শিক্ষিত ও মেধাবীরাই যেন বেশি জটিল, বেশি উচ্চভিলাষী, দুর্নীতিবাজ,বেশি বেশি ঠকবাজ, বেশি বেশি ভানকারী, কপট মানুষ, মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ সবধরনের নেগেটিভ কর্মকান্ড তারা যেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে, সাবলীলভাবে করতে পারেন। একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের দিকে তাকিয়ে দেখুন। কতবড় মেধাবী একজন শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি জীবনে অথচ কত সুন্দরভাবে সমাজ , মানুষ ও সরকারকে ফাঁকি দিয়ে একটি দালান তৈরি করে দেন দুই কোটি টাকা দিয়ে অথচ ব্যয় করেছেন হয়তো এক কোটি দশ লাখ। কত হাজার কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্টস কর্মী, খেঁটে খাওয়া মানুষ এই কাজটি এবং এতগুলো টাকা একসাথে মেরে দিতে পারবেন?

মানুষের একটি স্বাভাবিক ও প্রকৃতিগত প্রবৃত্তিই হচেছ এককভাবে ক্ষমতা ভোগ করা। তাই দেখা যায় কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা কোন বিভাগে যখনই দুইবা ততোধিক ব্যক্তি বা কর্মকর্তার মধ্যে প্রায় সমান সমান যোগ্যতার দুজন থাকেন তখনই একজন অপর জনকে ঠেস মারার চেষ্টা করেন। একজন আরেকজনকে কুট কৌশলে, প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।একই পদ মর্যাদার দুজনের মধ্যে যদি একজন একটু ভাল পারফরমার হন, কিংবা একটু বেশি সৃজনশীল বা শিক্ষিত হন তা হলে তার বিরুদ্ধে চলে অবিরাম ষড়যন্ত্র কারণ তার চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যক্তিটি মনে করেন তার সহকর্মী তার নিকট একটি থ্রেট বা ভীতির কারণ। তিনি থাকলে তার ওপরে ওঠা কঠিন হবে, তাই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে চরম ষড়যন্ত্র। কোন না কোনভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বের করে দিতেই হবে তা না হলে ঐ গ্রুপের কারুরই যেন কোন ঘুম নেই। সেই হাওয়ায় বাতাস লাগান আরও অনেকেই। শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের খেলা ঐ সৃজনশীল ব্যক্তিটিকে নিয়ে। সৃজনশীল ও শিক্ষিত ব্যক্তিটিকে বিভাগে কিংবা প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখা তো দূরের কথা, শুরু হয় ছলে, বলে , কৌশলে ঐ ব্যক্তিকে বের করে দেয়ার চেষ্টা। তাকে বিভাগ বা প্রতিষ্ঠান থেকে সরাতে পারলেই যে তার প্রতিপক্ষ উপরে উঠে যাবেন তার কিন্তু নিশ্চয়তা নেই। তবে, এটি নিশ্চিত যে, প্রতিষ্ঠান তার নীরব এবং মানসম্পন্ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে। তাতে কার কি আসে যায়? প্রতিষ্ঠান ভুগে ভুগুক, আমার প্রতিপক্ষ, আমার থ্রেটকে তো তাড়ালাম! এই যুক্তিই যেন কাজ করছে সর্বত্র। ফলে মেধাবীরা থাকতে পারছেনা কোথাও। তাদের এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ছুটে বেড়াতে হয়। মানুষকে ওপরে উঠতে হবে, কারণ ওপরে উঠলে তিনি ভোগ করতে পারবেন প্রভাব, প্রতিপত্তি, মানুষের তোয়াজ করা, আরও বহু সুযোগ সুবিধা। তাহলে সে ওপরে ওঠার চেষ্টা কেন করবেন না? মানুষ প্রকৃতিগত ভাবেই এটি চায়। আর তাই এই ল্যাং মারার কালচার মানুষই তৈরি করেছে।আর যারা প্রতিষ্ঠানে থেকে যান তারা হয় বিভিন্নভাবে কোনঠাসা হয়ে থাকেন না হয় মৃতবৎ হয়ে থাকেন।কোনভাবেই তাকে কোন মূল্যায়ন করা হয়না, মূল্যায়ণ হয় চাটুকারদের। বিদায়ের ঘন্টা বাজানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে যেদিন কোন মেধাবী কর্মীকে বিদায় দেয়া হয় সেদিন আবার দেখা যায় অনেকেই মায়াকান্না , আরও জটিল ও কুটিল উপায়ে মেকি প্রশংসা করছেন। অদ্ভুুত এক জায়গা এই পৃথিবী!

স্রষ্টা একটি ব্যবস্থা করে রেখেছেন। একটি শ্রেণিতে সকল শিক্ষার্থী একইরকম না। একই পেশায় নিয়োজিত সকল কর্মী একই রকম হবেন না। কেউ কোন কিছু দ্রুত বুঝেন, আবার কেউ বা আস্তে আস্তে বুঝেন, কেউ অনেক দেরিতে বুঝেন, কেউ বুঝেন কিন্তু বেশি প্রচার করেন না, কেউ বুঝেন কম কিন্তু প্রচার করেন ও দেখান অনেক বেশি। কিন্তু প্রকৃত ব্যক্তি কে? যিনি বেশি বুঝেন, দ্রুত বুঝেন , দ্রুুত পারফরম করেন, সুন্দরভাবে পারফরম করেন। দেখিয়ে প্রচার করে, ফাঁকি দিয়ে যিনি কাজ করেন তিনি প্রাপ্য হবেনা না প্রথম পদ। অর্থাৎ স্রষ্টা মানুষের মধ্যে যে গুণাবলী দিয়েছেন সেই গুণাবলীর অধিকারিরাই কোন বিষয়ের ওপরে থাকবেন। কিন্তু মানুষ বিষয়টি উল্টিয়ে করে বলেই যত সমস্যা। যার যা প্রাপ্য আমরা তা দিতে চাইনা। যিনি যার উপযুক্ত না আমারা তাকে সেখানে বসাই। আর সমস্যার শুরুই এখান থেকেই।

তাই সরকারি চাকরিত যারা আছেন তারা বিষয়টি বাগাতে চান রাজনীতি করে, রাজনীতি না করলে তিনি ভালভাবেই জানেন ঐ পদ তিনি কখনই পাবেননা। শুরু হয় উলঙ্গ রাজনীতি যা সবার চোখে বাঁধে তারপরেও তারা সেটি চালিয়ে যান। প্রথমে চালান গোপনে, গোপনে, তারপর অর্ধ-প্রকাশ্যে তারপর পুরোপুরি প্রকাশ্যে ও ন্যাকেডলি। তিনি যে পেশায় যুক্ত তা ভুলে গিয়ে, তার পেশাগত দক্ষতা কিংবা কাজ বাদ দিয়ে শুরু করেন প্রকাশ্য রাজনীতি। যেমন ধরুন, ডাক্তারদের সংগঠন। তারা দেশে চিকিৎসার কি সমস্যা হচেছ, সাধারন মানুষ চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে কিনা, সরকারের কোথায় সীমাবদ্ধতা সেগুলো কিভাবে উতড়াতে হবে এসব বাদ দিয়ে, নীতি-নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে শুরু করেন রাজনীতি, বাগিয়ে নেন বড় বড় পদ। ভোগ করেন সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সুবিধা। সর্বত্রই রাজনীতি। বিদেশে একটি প্রশিক্ষণে যাওয়ার ব্যবস্থা হলো দেখা গেলো শুরু হয় দৌড়-ঝাঁপ, ধরাধরি, পর্দার আড়ালের রাজনীতি। ফলে যাদের ঐ প্রশিক্ষণে যাওয়ার কথা তারা না গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক লোকজন সেখানে যান। তাতে যে বিভাগের অপচয়, অর্থের অপচয় এবং প্রকৃতদের বঞ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো কেউ ভেবেও দেখেন না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি স্যারদের দিকে তাকান- দেখা যাবে তারা যে এক একজন বড় বড় শিক্ষক, গবেষক ও জ্ঞানের মশাল তা সবকিছু ভুলে গিয়ে নিজদের এমনভাবে উপস্থাপন করেন সর্বক্ষেত্রে মনে হয় তারা যেন বড় বড় রাজনৈতিক কর্মী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি সেভাবে না থাকলেও আছে ’ গ্রুপ লবিং’। কোন গ্রুপে ভিড়লে কার কতটা লাভ সে অনুযায়ী চলে মেরুকরণ। চলে তেল নিয়ে গবেষণা। কি ধরনের তেল কাকে কখন কতটুকু ও কিভাবে দিতে হবে সেই প্রতিযোগিতা। তেলে তেলময় হয়ে ওঠে কর্মক্ষেত্র আর মুখে থাকে জনগনের, সাধারণ মানুষের, অবহেলিত মানুষের কথা, দেশের কথা। আর মনে মনে তলে তলে সবাই ব্যস্ত ’ পোস্ট’ বাগানো নিয়ে। কে কিভাবে পোস্ট বাগাবেন সেই চিন্তায় বিভোর সবাই। সবই যেন ধাপ্পাবাজিতে ভরা! আসল কাজের চেয়ে অকাজ নিয়েই যেন ব্যস্ত সবাই!অদ্ভ’ত এই দুনিয়ার খেলা!

মানুষ ঈর্ষান্বিত হয় কেন এবং কখন?কোন ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি যখন তার পরিচিত পরিবেশ, সহকর্মীদের সাথে তার ক্রিয়েটিভিটি খুব একটা প্রকাশ না করে তাহলে তারা মনে করেন যে, লোকটির কোন গুণ নেই।কিন্তু ক্রিয়েটিভ ব্যক্তিটি যদি তার গুণের বদৌলতে যে গুণ তার চারপাশের মানুষেরা খুব একটা দেখেননি কোনভাবে পুরুস্কৃত হন কিংবা উপরের সিড়িঁতে উঠে যান তাহলে তার চারপাশের মানুষেরা তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হন।তারা মনে করেন তাদের সেই সহকর্মী এখন অথরিটির কাছে আলাদা গুরুত্ব পাবেন, তাদের বেশি মর্যাাদা পাবেন- এগুলো তাকে তাদের থেকে আলাাদ করে ফেলবে।এই বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারেননা, তাই তারা ঈর্ষাবোধ করেন। একজন সহকর্মী তা সে যতো ভালো মনের মানুষই হোক না কেন চোখের আড়াল হলেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় সমালোচনা। সে যত ভাল কথাই বলুক না কেন, যত ভাল কাজই করুক না কেন তার ভাল কাজটি নিয়েও সহকর্মীরা সমালোচনা করেন। তিনি কেন এত ভাল করলেন। সভ্যতা, মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, নীতিকথা, ধর্মীয় বাণী কিছুই যেন মানুষকে এই রোগ থেকে ফিরাতে পারছেনা।তাই এখন সর্বত্র শোনা যায় ’ নৈতিক শিক্ষা’র কথা। কিন্তু এই শিক্ষাও মানুষকে বদলাতে পারছে কী?

আমরা যদি এটি শিখতাম, এটির চর্চা করতাম, এটি অভ্যাস করতাম যে, আমার সহকর্মী, আমার প্রতিবেশি, আমার বস, আমার অধীনস্থ কোন কর্মকতা বা কর্মচারীর ভাল দিকগুলো কি কি আছে তা দেখা, সেগুলোর সত্যিকার প্রশংসা করা। যেগুলো প্রশংসা করার মতো নয় সেগুলোকে কিভাবে শোধরানো যায় তার উত্তম পন্থা বের করা। যেমন একজন মানুষ হেসে কথা বলেন, তিনি তার কাজে ডেডিকেটেড, নিষ্ঠাবান, কিন্তু তিনি হঠাৎ রেগে যান। আমরা তাকে আর কেউ পছন্দ করিনা। তার ঐ একটি সমস্যার কথা চিন্তা করে অন্য সমস্ত পজিটিভ গুণাবলীও নেগেটিভ করে ফেলি। আমরা যদি চিন্তা করি তিনি তো একজন মানুষ, তিনি ফেরেশতা নন। তার ঐ দোষটিকে আমরা অবস্থা অনুযায়ী যদি ফিডব্যাক দিতে পারি, তার ভাল দিকগুলো তুলে ধরতে পারি তাহলে কিন্তু তিনি আরও ভাল হবেন। কিন্তু আমরা ঐ একটি বিষয়কে পুজি করে সারাজীবন, সবসময় সমালোচনা করে বেড়াই। একজন সহকর্মী , এমনকি একজন বন্ধু চোখের আড়াল হলেই যত ভাল কাজই সে করুক না কেন, যত ভাল চরিত্রের অধিকারীই তিনি হোন না কেন কোন না কোন ভাবে আমরা তার চরিত্রের বিভিন্ন খুঁত বের করার চেষ্টা করি। বিভিন্নভাবে রসিয়ে রসিয়ে তার পেছনে তার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করি , কোন কারন নেই, কোন লাভ নেই , তারপরেও আমরা এগুলো করে থাকি। কি অদ্ভ’ত এক স্বভাব মানুষের। এটি না করে আমরা যদি এমন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারতাম যে, একজন সহকর্মী, একজন বন্ধুর ভাল কি কি দিক আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা। তিনি কিভাবে সেসব গুণাবলীর অধিকারী হলেন, তার থেকে কি কি শেখা যায় , তার চরিত্রের কোন কোন দিকগুলো অনুসরন করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিলে আমরা একটি চমৎকার প্রতিষ্ঠান, চমৎকার সমাজ গঠন করতে পারতাম। প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের হারাতে হতোনা মেধাবী কর্মীদের, মেধাবী সহকর্মীদের।

মাছুম বিল্লাহ: ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক।

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়]


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি - dainik shiksha ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049960613250732