বিশাল জনগোষ্ঠীর বিপরীতে পদ স্বল্পতা এবং দীর্ঘদিন প্রধানশিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদ বক পোস্টে পরিণত হয়েছে! খসড়া সমন্বিত নিয়োগবিধি ২০১৯-এ সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতা নেই, যেখানে প্রধানশিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বহাল আছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, উল্লেখ্য—১৯৮৫, ১৯৯৪ ও ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে (৪৫ বছর শিথিলযোগ্য) আবেদনের সুযোগ ছিল। এ সুযোগ আরো বাড়ানো সময়ের দাবি—যেখানে ২০১৯ সালের শিক্ষক নিয়োগবিধিতে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষক পদে প্রার্থীর যোগ্যতা স্নাতক/ডিগ্রি সমমানের করা হয়েছে। ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর পদে প্রধানশিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে, যেখানে বয়সের কোনো লিমিট রাখা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষায় উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক তাঁদের মাঠ পর্যায়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও মেধা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সরকারি অন্যান্য বিভাগে বিভাগীয় প্রার্থিতার সুযোগ থাকলেও সহকারী শিক্ষকরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না।
বিভাগীয় প্রার্থিতা বহাল থাকলে শিক্ষকরা তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন এবং মনন মেধা কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে সদা তত্পর থাকবেন। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর স্বপ্নদ্রষ্টা। শিক্ষক নিজেই স্বপ্নহারা হয়ে গেলে শিক্ষার্থীকে স্বপ্নময় বাস্তব জীবনের দিকে কিভাবে ধাবিত করবেন? তাই মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা কাজে লাগাতে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতার সুযোগ বহাল ও প্রসারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাই।
লেখক : ফারজানা আক্তার, চট্টগ্রাম