প্রাপ্য টাকা পেতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের তদবির, সুপারিশ প্রয়োজন নেই

অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী |
জীবনভর শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। শিক্ষার মশাল জ্বালিয়েছেন ঘরে ঘরে। দেশের জন্য কাজ করেছেন। আপনার মেধা ও শ্রমে হাজার হাজার সন্তান যোগ্য মানুষ হয়েছে। কিন্তু নিজে দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম করেছেন। দারিদ্রের অন্ধকার নিজ ঘরে। ২৫/৩০/৩৫ বছর কাজ করেছেন শিক্ষার সাথে। জীবন সায়াহ্নে এসে অবসরে যাওয়ার পর কিছু টাকা নিয়ে ঘরে যাবেন। আপনার চাকরি জীবনের সঞ্চয়ের সাথে সরকারের প্রদত্ত টাকার অংক মিলিয়ে মোটামুটি একটি ভালো পরিমাণ অর্থ আপনি পেয়ে থাকেন। অবসরের এই অর্থ পেতে আগে ৫ বছরের অধিক সময় লাগতো।
 
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য ইতিমধ্যে অবসর ভাতা বাবদ ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে অনিষ্পন্ন ৪৬ হাজার আবেদনের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার আবেদন ২ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আবেদন করার পর ৩ বছরের মধ্যে আপনি টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।
 
অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি, অবসরে যাওয়া শিক্ষক কর্মচারীদের ভোগান্তি দূর করতে আরো ৫৩২কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে। বরাদ্দকৃত এই টাকা দিয়ে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার আবেদন পুরাতন স্কেলে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
 
২০১৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত আবেদনকারী শিক্ষক কর্মচারীদের জানাচ্ছি, আপনাদের কোন তদবির, সুপারিশ প্রয়োজন নেই। আপনার প্রাপ্য টাকা পেতে কোন হয়রানীর শিকার হতে হবে না। কিছু লোক অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকতে পারে। এ বিষয়ে আপনি সতর্ক থাকুন। কোন জরুরি প্রয়োজনে অবসর বোর্ড অফিসে সরাসরি সদস্য সচিবের সাথে অথবা হেলপ লাইন-০২-৯৬৬২১৮২ এবং ০২-৫৫১৫১৯৯৯(মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) এ যোগাযোগ করুন।
 
 
লেখক : সদস্য সচিব, অবসর সুবিধা বোর্ড, ঢাকা।

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025379657745361