বিদ্যালয়ের পাশেই ময়লার ভাগাড়

মাদারীপুর প্রতিনিধি |

মাদারীপুর পৌরসভা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই আবাসিক এলাকায় ফেলা হচ্ছে শহরের ময়লা-আবর্জনা। সেই ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অসুস্থ হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরাও।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে মাদারীপুর পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা প্রতিদিন ভোরে ভ্যানগাড়ি ও ট্রাকে করে এনে পৌরসভা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফেলা হচ্ছে। সেগুলোর দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীসহ আশপাশের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা নাকে কাপড় চেপে ক্লাসে বসে। বিশেষ করে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ময়লা-আবর্জনার কারণে পরিবেশ দূষণসহ ভাগাড়ের আশপাশের বাসিন্দারাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা দ্রুত ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তাদের খুব কষ্ট হয়। এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা ভালো হয় বিধায় দুর্গন্ধের কষ্ট সহ্য করে তারা ক্লাসে আসে। তাদের দাবি, যেন ওই স্থানটিতে ময়লা ফেলা দ্রুত বন্ধ করা হয়। কয়েকজন অভিভাবক জানান, মাদারীপুর পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে বলতে তাঁরা ক্লান্ত। আবেদনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তাই তাঁরা এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চান।  বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এখানে ময়লা ফেলা বন্ধের জন্য অনকেবার বলেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা প্রায়ই দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে যায়। এতে পরিবেশও মারাত্মকভাবে দূষিত  হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনার গাড়ি এসে এখানে ময়লা ফেলে। ময়লা ফেলার কোনো জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে পৌরসভার জায়গাতেই ময়লা ফেলা হচ্ছে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027799606323242