বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকার বাস্তবতা

মাছুম বিল্লাহ |

আমাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানেই পুরোপুরিভাবে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। তবে, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক অর্থাৎ যে সব শিক্ষক এ বিষয়গুলোতে অনার্স কিংবা মাস্টার্স করেছেন কিংবা স্নাতক পাস করলেও স্নাতক শ্রেণিতে তাদের ঐ বিষয়গুলো ছিল তাদেরই পড়ানোর কথা। মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই তাদের বিদ্যালয় জীবন শেষ করছে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতা নিয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে আমরা কি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পাওয়ার অবস্থায় আছি? 

ব্যানবেইস দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি বছরই ‘বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০২১ সালের তথ্য বলছে, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের ৮০ শতাংশেরই নেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। বছরটিতে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন ৯৬ হাজার ৫৮ জন। তাদের মধ্যে কেবল ৬ হাজার ২৪১ জন শিক্ষক ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রিধারী আর এ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ছিলেন ৯ হাজার ৪১ জন শিক্ষক। সে হিসেবে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের পাঠদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের ৮৪ শতাংশেরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ডিগ্রি নেই। অভিন্ন চিত্র দেখা যায় গণিতের ক্ষেত্রেও। ব্যানবেইসের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় গণিতের শিক্ষক ছিলেন সর্বমোট ৬৭ হাজার ৯৫৫ জন। এর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৮৪৩ জন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ও ৭ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষক গণিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। সে হিসাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে ডিগ্রি রয়েছে কেবল ১৯ শতাংশ শিক্ষকের। বাকি ৮১ শতাংশই অন্য বিষয়ে ডিগ্রিধারী।

বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রিধারী শিক্ষকের দিক থেকে বেসরকারির তুলনায় অবশ্য সরকারি বিদ্যালয়গুলোর চিত্র ভালো। সরকারি বিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৫০৬ জন ইংরেজি শিক্ষকের মধ্যে ১ হাজার ৪৬৩ জনেরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে যা শতকরা ৩০.৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৯১ হাজার ৫৫২ ইংরেজি শিক্ষকের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রি রয়েছে ১৩ হাজার ৮১৯ জনের বা ১৫.০৯ শতাংশ। আর গণিত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৬০২ শিক্ষকের মধ্যে এক হাজার ২৫৪ জন বা ৩৪.৮১ ভাগের বিষয়ভিত্তিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। বেসরকারির ক্ষেত্রে সেই হার ১৮.৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৬৪ হাজার ৩৫৩ শিক্ষকের মধ্যে গণিতের ডিগ্রি রয়েছে কেবল ১১ হাজার ৮৭৪ জনের। সরকারি স্কুলের ৪ হাজার ৫০৬ জন ইংরেজি শিক্ষকের মধ্যে ৬৯০ জনের স্নাতকে ইংরেজি ছিল আর ১৪৬ জন এইচএসসি পাস। আর বেসরকারি স্কুলের ৯১ হাজার ৫৫২ জন ইংরেজি শিক্ষকের মধ্যে ২০ হাজার ৬৫০ জনের স্নাতকে ইংরেজি ছিল না আর ৩ হাজার ৭১১ জন এইচএসসি পাস। ৬৭ হাজার ৯৫৫ জন গণিত শিক্ষকের মধ্যে ১৬ হাজার ২৫৬ জন বা ২৩.৯৩ শতাংশের স্নাতকে গণিত ছিল না। আর ১২.১৫ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৫৮ জন এইচএসসিতে গণিত পড়েননি, কিন্তু গণিতে শিক্ষকতা করছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০২ জন গণিত শিক্ষকের মধ্যে ৭৪৫ জনের স্নাতক পর্যায়ে গণিত ছিল না, আর এইচএসসিতে গণিত ছিল না ২০২ জনের। বেসরকারি স্কুলের ৬৪ হাজার ৩৫৩ জন গণিত শিক্ষকের মধ্যে ১৫ হাজার ৫১১ জনের স্নাতক পর্যায়ে গণিত ছিল না, আর এইচএসসিতে গণিত ছিল না ৮ হাজার ৫৬ জনের।

শিক্ষকদের যোগ্যতাগত ঘাটতির প্রভাব স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের শিখনফলে পড়ার কথা এবং পড়ছেও। সরকারের বিভিন্ন গবেষণায়ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে দক্ষতাগত দুর্বলতার চিত্র উঠে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তদারক ও মূল্যায়ন বিভাগ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের দক্ষতাবিষয়ক একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অব সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস-২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি মাউশি। তবে ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাধ্যমিকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এখনো ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে। এর মধ্যে ইংরেজিতে বেশি খারাপ। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর ইংরেজি অবস্থা খুবই খারাপ, ৩২ শতাংশ খারাপ বা গড়পড়তা স্তরে আছে। এ দুই স্তর মেলালে ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থীর অবস্থাই খারাপ বলা যায়। মোটামুটি ভালো স্তরে আছে ১৮ শতাংশের মতো। বাকি শিক্ষার্থীরা ভালো ও খুবই ভালো স্তরে আছে। অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজিতে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ব্যান্ড ২ ও ৩ স্তরে আছে। ২৮ শতাংশ মোটামুটি ভালো। এ শ্রেণিতে চার ভাগের প্রায় এক ভাগ খুবই ভালো করেছে। এ বিষয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক ভালো। সাড়ে ১২ শতাংশ খারাপ স্তরে। বাকিরা মোটামুটি ভালো, ভালো ও খুবই ভালো।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, যেসব শিক্ষকের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি নেই, তাদের দিয়ে পাঠদান করিয়ে কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত শিখনফল অর্জন সম্ভব নয়। তাদের মতে, শুধু গণিত কিংবা ইংরেজি নয়, বিজ্ঞানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ডিগ্রিধারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া জরুরি। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, গণিতের গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের শিক্ষার্থীরা গণিতে ভালো করেছে, যারা বিজ্ঞানের গ্র্যাজুয়েট তাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানে ভালো করেছে। আর ম্যানেজমেন্ট পড়ে যারা গণিতে পড়াচ্ছেন তাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের হার কম। প্রশিক্ষণের দিক দিয়েও বেশ পিছিয়ে রয়েছেন গণিত ও ইংরেজি শিক্ষকরা। ২০১৯ সালে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার নানাদিক নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান। এর ফলাফলের ভিত্তিতে ‘সেকেন্ডারি স্কুল টিচারস ইন বাংলাদেশ : ইন দ্য লাইট অব এসডিজি ফোর’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। তাতে উঠে আসে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নিয়োজিত ৫৫ শতাংশ শিক্ষকেরই বিষয়ভিত্তিক কোনো প্রশিক্ষণ নেই। শিক্ষকের মানের কথা বলতে গেলে সবার আগে যে বিষয়টি আসে সেটি হলো শিক্ষকের যোগ্যতা। কারণ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অথচ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার বিষয়টি বেশ অবহেলিত। আর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না পাওয়ার অন্যতম কারণ আমরা এ পেশায় তাদের আকৃষ্ট করতে পারছি না। বিভিন্ন খাতে যত বড় উন্নয়নই হোক না কেন, শিক্ষাকে অবহেলায় রেখে তা কখনই টেকসই হবে না। তাই আমাদের শিক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে হলেও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় প্রয়োজন বলে কোনো কোনো শিক্ষাবিদ মন্তব্য করেছেন।

এরশাদ সরকার জনপ্রিয়তার জন্য ইংরেজি ছাড়া বিএ ও গণিত ছাড়া বিএসসি পড়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। তখন পাস করা শিক্ষার্থীদের একটা অংশ শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে গণিত ও ইংরেজি বিষয় পড়াচ্ছেন। আমাদের দেশের তখনকার শিক্ষাবিদরা কি বিষয়টিতে খুব একটা বাধা প্রদান করেছিলেন? করেননি। এরশাদ আর্মির লোক। আর্মিতে তো ইংরেজির গুরুত্ব থাকে সবক্ষেত্রেই, কিন্তু এখানে কী ঘটেছিল? তবে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ কারণ এসব শিক্ষক অবসরে চলে গেলে ও নতুন যোগ্যতা অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ হলে এমনটি আর থাকবে না। চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে উচ্চশিক্ষা সবক্ষেত্রেই ইংরেজিতে দক্ষতা জরুরি। আর বিশে^র সব শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় গণিত শিক্ষাকে। আর এ দুটোতেই আমাদের শিক্ষার্থীরা দুর্বলতা নিতে ওপরের শ্রেণিতে উঠতে থাকে।

মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা একটি বাস্তবতা। একে স্বীকার করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যারা গণিত, ইংরেজি কিংবা বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কিংবা মাস্টার্স নিয়ে পড়াশুনা করেন তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ শিক্ষকতা ছাড়া অন্য কোনো পেশায় চলে যান বা যেতে চান, এটা স্বাভাবিক। শিক্ষকতা অর্থনৈতিকভাবে সব জায়গায় বা সবক্ষেত্রে আকর্ষণীয় নয়। তা ছাড়া এ পেশা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং বর্তমান যুগে খুব চাপেরও। প্রতিষ্ঠান যদি একটু নাম করা হয় তাহলে শিক্ষকদের খাটুনির অন্ত থাকে না। তাই, অনেক মেধাবী এ পেশায় আসতে চান না।

মাধ্যমিকে ভালোভাবে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়। গণিতে তারা যেসব বিষয় গ্র্যাজুয়েশন লেভেলে পড়ে আসেন সেগুলো কিন্তু মাধ্যমিকে নেই। অন্য বিষয়ের শিক্ষক যদি ডেডিকেটেড হন তাহলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কিন্তু শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাদান আনন্দময় করতে পারেন। গণিতে অনার্স পড়–য়ারাই যে গণিত করাতে পারবেন তা নয়। যারা অর্থনীতি কিংবা অ্যাকাউন্টিং কিংবা ম্যানেজমেন্ট পড়ে আসেন তারাও কিন্তু পারবেন। একইভাবে, ইতিহাস, অর্থনীতিসহ অন্যান্য বিষয়ে যারা অনার্স পড়েন তারা যদি চর্চা করেন, প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তাহলে ইংরেজি পড়াতে পারেন। আমাদের বাস্তবতায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করার বিকল্প নেই।

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, প্রেসিডেন্ট-  ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ইট্যাব)


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড - dainik shiksha ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি - dainik shiksha ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট - dainik shiksha মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা - dainik shiksha অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল - dainik shiksha ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025780200958252