বেসরকারি শিক্ষকদের কথা ভাবতে হবে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে না আছে কোন আয়, না পাচ্ছেন কোন সহায়তা। অবর্ণনীয় অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ঈদ বা উৎসব উদযাপনের কথা ভাবছেন না তারা। পরিবার-পরিজনের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাবেন কিভাবে সেই চিন্তায় তারা দিশেহারা। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর মার্চে সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর তাদের কপালে দুশ্চিন্তার যে ভাঁজ ফেলেছে তা দূর হয়নি আজও। তাদের মানবেতর জীবনের কথা প্রায়ই পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ পায়। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কেউ তাদের অসহায়ত্ব দূর করার উদ্যোগ নেয়নি।

দেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে প্রায় ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। এসব শিক্ষক চরম বিপাকে পড়েছেন। মহামারীর কারণে ৩৭ হাজারেরও বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুই লাখেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষক সংকটে পড়েছেন।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থা বরাবরই খারাপ। কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কারিগরি অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন খুবই সামান্য। নিয়মিত শিক্ষাদানের পাশাপাশি অনেকেই এ জন্য বাধ্য হয়ে টিউশনি করেন। কিন্তু মহামারী তাদের বিকল্প আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আরও তীব্র হওয়ায় তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চরম আকার ধারণ করেছে।

বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিয়মিত আয় করলেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাউকে এ অভিযোগের সুরাহা করতে দেখা যায়নি।

শিক্ষকদের চরম সংকট দূর করতে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্দশাগ্রস্ত শিক্ষকদের একটি তালিকা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা সেটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045731067657471