বৈষম্য থেকে মুক্তি চান প্রাথমিক শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সমন্বয়হীন এবং স্পষ্ট বৈষম্যের মধ্যেই যুগের পর যুগ চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ভাগ্যের চাকা। সিলমোহর মারা কাগজের পরিপত্র আর মাঠ পর্যায়ের বাস্তব চিত্র আকাশ পাতাল ব্যবধান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে প্রাথমিক প্রধানশিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণি ঘোষণা দিলেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে আরও জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষকরা ৮ বছর পর প্রথম টাইম স্কেল পাওয়ার কথা থাকলেও ৯-৩-২০১৪ থেকে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। টাইম স্কেলসহ তৃতীয় শ্রেণির সুবিধাগুলো চাইতে গেলে প্রধানশিক্ষকদের বলা হয় আপনারা তো দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ সদ্য EFT ফরম পূরণ করতে গিয়ে দেখা গেল সহকারী শিক্ষক এবং প্রধানশিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার কলামেই টিক চিহ্ন দিতে হলো, দ্বিতীয় শ্রেণির কলাম ওখানে অনুপস্থিত। প্রধানশিক্ষকদের পদোন্নতির কথা বলা হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রধানশিক্ষকের পদটি ব্লক পদ। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক থেকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে প্রধানশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, দীর্ঘদিন পার হলেও তাঁদেরকে আশ্বাসের মধ্যে রাখা হয়েছে। স্থায়ীভাবে প্রধানশিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে সহকারী শিক্ষক হিসেবেই চাকরি শেষ করে অবসরে চলে যাচ্ছেন, পদোন্নতির কথা থাকলেও কোনো এক অজানা কারণে তা আর হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে ঊর্ধ্বতন দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঘোষণা দিচ্ছেন যে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক থেকে ডিজি পর্যন্ত হওয়া যাবে। যেখানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে সহকারী শিক্ষক হিসেবেই অবসরে যেতে হয়, সেখানে এরকম ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে তামাশা ছাড়া আর কী। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বন্ধ রেখে তাঁদের এক দুর্বিষহ প্যারার মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে। তিন বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদনভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা অনেকেই সময়মতো পাচ্ছেন না। কোনো কোনো উপজেলার শিক্ষকরা পেলেও আবার কোনো কোনো উপজেলার শিক্ষকরা বঞ্চিত। ডিপিএড প্রশিক্ষণ শেষে যেখানে বেতনভাতা বাড়ার কথা, সেখানে উলটো বেতন কমে যাচ্ছে, ব্যাংকে গিয়ে বেতনের টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে! এরকম অবস্থা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবার অন্তরায়। মহার্ঘ্যভাতা চালু করা এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া টাইম স্কেলগুলো চালু করা এখন সময়ের দাবি।

লেখক : মো. জামিল বাসার, সহকারী শিক্ষক, বওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034120082855225