ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে লকডাউনের মধ্যে তড়িঘড়ি করে একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ ৪টি শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ওইসব পদে নিয়োগের জন্য ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজার সদরে অবস্থিত সাতৈর জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এরমাত্র একদিন আগে অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। আবেদনকারীদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল লকডাউনের মধ্যে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ স্থগিত করা হয়েছে লকডাউনের অজুহাতে।
তবে প্রার্থীদের অভিযোগ, একাধিক পদে নিয়োগে ঘুষের টাকা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এ নিয়োগ পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ চার পদে নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। অধ্যক্ষ পদে ৫ জন, উপাধ্যক্ষ পদে ৬ জন, আয়া পদে ৪ জন এবং নিরাপত্তাকর্মী পদে ৬ জন আবেদন করেছেন। এরমধ্যে অধ্যক্ষ পদে একজনের আবেদন বৈধ হয়নি। অধ্যক্ষ, আয়া পদে গত ২০ মার্চ; নিরাপত্তাকর্মী পদে ২৪ মার্চ এবং উপাধ্যক্ষ পদে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এর পর তড়িঘড়ি করে লকডাউনের মধ্যেই নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে তা আবারও স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাতৈর জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদেোসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল বাশার মো. ছালেহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডিজির প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ফোন দিয়ে বলেছিলেন আগামীকাল ইন্টারভিউ হবে। সেইভাবে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। পরে আবার তিনি ফোন দিয়ে জানিয়েছেন আসতে পারবেন না।
তবে, নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আকবর হোসেন আকুল। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অর্থের বিনিময়ে এই মাদরাসার বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার সঙ্গে কোন প্রার্থীর এ ব্যাপারে কথা হয়নি।