মেডিকেল কলেজ চলছে সদর হাসপাতালে, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি |

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ভিতরে। এতে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। 

২০১৮ সালের ১ এপ্রিল চাঁদপুরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর দ্রুতই মেডিকেল কলেজটির অনুমোদন পায়। শুরু হয় কলেজের শিক্ষক নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়া। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় অস্থায়ী হিসেবে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার একটি অংশে শুরু হয় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। 

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কলেজের প্রথম ব্যাচে ৫০ ছাত্রছাত্রী ভর্তির অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর প্রথম ব্যাচে ভর্তি হওয়া ৩২ মেয়ে ও ১৮ জন ছেলে শিক্ষার্থী নিয়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু করে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ।

 

একটি মেডিকেল কলেজে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার তার অনেক কিছুই এখানে নেই। নেই শিক্ষার্থীদের থাকার হোস্টেল। তারা থাকছেন হাসপাতালের কোয়ার্টারে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। 

প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োক্যামেস্ট্রি এ তিন বিভাগের লেখাপড়া চলে একটি কক্ষে। তাদের অভিযোগ- মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক ও লাইব্রেরি। এখানে লাইব্রেরি নামে রুম থাকলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত বই ও ফার্নিচার। 
খেলাধুলার সুযোগ তো দূরের কথা, শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো কমনরুম। 

অধ্যক্ষ ডা. জামাল সালেহ উদ্দীন জানান, ‘আমিসহ সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রেষণে এখানে চাকরি করছি। এখানে রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা। নেই হোস্টেল, ল্যাব টেকনিশিয়ান, ড্রাইভার, গার্ড, ডেড বডি ম্যানেজের জন্য ডোম’। 

অধ্যক্ষ বলেন, চাঁদপুরসহ পাঁচটি মেডিকেল কলেজের প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই কলেজ ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ সব অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। তবে সবকিছু হতে আরও সময় লাগবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00288987159729