রাবিতে ছাত্রী অপহরণ: উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

রাবি প্রতিনিধি |

ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ওই ছাত্রীর সন্ধান ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দাবিতে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রীর সন্ধান চেয়ে দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘আমরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। আমাদের ইচ্ছার বাইরে আমাদের বাবাও জোর করে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিতে পারেন না। অথচ তার সাবেক স্বামী কীভাবে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যায়? অপহরণের আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও প্রশাসন তার সন্ধান জানাতে পারেনি।’

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একজন ছাত্রীকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়? এ দায় সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এ বিষয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এটা পারিবারিক বিষয়। ওই ছাত্রীর চাচা এখানকার শিক্ষক। আমি তাকে ডেকে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিবে।’

ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাপসী রাবেয়া হল থেকে বের হন ওই ছাত্রী। হল থেকে বের হওয়ার পর সাবেক স্বামী সোহেল রানাসহ কয়েকজন তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা জোর করে ওই ছাত্রীকে সাদা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী জানায়, তারা জোর করে আমার বান্ধবীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার বান্ধবী চিৎকার করে বলছিল, ‘আমাকে বাঁচা’। হলের সামনে থাকা কয়েকজন রিকশাচালক এগিয়ে আসলেও তাদের আটকাকে পারেনি। তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।

জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে সোহেল রানার সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দুই মাস আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তার স্বামীই তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এর আগেও তার স্বামী নাকি ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে হলের সামনে আসতো। শুনেছি, দুই মাস আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু তিন মাস না হওয়ায় তার স্বামী সোহেল রানা চাইছিল, যেন বিচ্ছেদ না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ওই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ প্রশাসনকে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘এখনও ওই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তার পরিবার মামলা করবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026130676269531