রাবি উপাচার্যের জামাতার জন্য নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন। এতে প্রার্থীর যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে। আর এই পরিবর্তনের ফলে উপাচার্যের জামাতা শিক্ষক হিসেবে চাকরির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন।  বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার হওয়ার কথা রয়েছে।

নীতিমালা পরিবর্তনের সুযোগে এর আগে উপাচার্যের মেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ এবং একাডেমিক ফল প্রথম সাতজনের মধ্যে থাকতে হতো। উপাচার্য আবদুস সোবহানের দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে ৪৭৫তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা শিথিল করা হয়। এখন শিক্ষক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ দশমিক ২৫। আর ব্যাচে প্রথম সাতজনের মধ্যে থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্যের জামাতা এ টি এম শাহেদ পারভেজ ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) প্রভাষক পদে চাকরির আবেদন করেছেন। তাঁর স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫–এর নিচে। তিনি মার্কেটিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন। তাঁর ব্যাচে যিনি প্রথম হয়েছেন তাঁর সিজিপিএ ৩ দশমিক ৮৯। এই ব্যাচে ৩ দশমিক ৫ বা এর ওপরে সিজিপিএ পেয়েছেন ৬৬ জন।

একইভাবে নীতিমালা পরিবর্তনের সুযোগে উপাচার্যের মেয়ে সানজানা সোবহানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মেয়েকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই এ বছর বিভাগটি খোলা হয়েছে। আগের নীতিমালা বহাল থাকলে সানজানা সোবহানও নিয়োগের সুযোগ পেতেন না। কারণ, একাডেমিক ফলাফলে তাঁর ব্যাচে তাঁর অবস্থান ২১তম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক  বলেন, শিক্ষক নিয়োগের যদি এই হাল হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!

যোগাযোগ করা হলে উপাচার্যের জামাতা শাহেদ পারভেজ বলেন, কেউ চাইলেই তো আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা পরিবর্তন করতে পারেন না। যে পরিবর্তন হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে অনুমোদন হয়ে এসেছে। সানজানা সোবহানের চাকরির ব্যাপারে তিনি বলেন, তাঁর ফল অনেক ভালো। যাঁরা এর সমালোচনা করছেন, তাঁরা উপাচার্যকে ছোট করছেন।

মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করে উপাচার্যের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জনসংযোগ প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেন না। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0076649188995361