রাবি ভিসি আওয়ামী লীগ কিনা জানতে ‘ডিএনএ টেস্টের’ দাবি ছাত্রলীগ নেতার

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা প্রকৃত আওয়ামী লীগ কিনা সেটি প্রমাণের জন্য ডিএনএ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন ওমর ফারুক ফারদিন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিনে দেয়া নিয়োগে উচ্চমান সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক। 

সোমবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে 'এ্যাডহক এ নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী' ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তিনি।

ছবি : সংগৃহীত

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের আমলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৭ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদায়ন করতে না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসেন ডিলস, ফিরোজ মাহমুদ, রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা মতিউর মর্তুজা, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এস কে এম আরকান বাপ্পী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় রাবিতে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. রাসেল বলেন, আমরা এখনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে দেব না। আমাদের চাকরিতে পদায়নের সুযোগ না দিলে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান সুমন বলেন, আমরা জামাত শিবিরের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেছি। সাবেক উপাচার্য আমাদেরকে চাকরি দিয়ে গেছেন। অথচ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, সেই চাকরিতে আমাদের পদায়নে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। কোন ক্ষমতাবলে আগুন নিয়ে খেলা করছেন?

অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তার মধ্যে এসকে সিনহার প্রতিচ্ছবি দেখতে পান নিয়োগপ্রাপ্তরা। 

এসময় উপস্থিত চাকরিপ্রাপ্ত, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে স্ব স্ব পদে পদায়নে অনুমতির দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবস ৬ মে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে যান। মন্ত্রণালয় সেদিনই এ নিয়োগ 'অবৈধ' ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সেই প্রেক্ষিতে ৮ মে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই ১৩৭ জনের চাকরিতে যোগদান প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে তদন্ত কমিটি গত ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটি বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। তবে সেই ঘটনায় এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর মধ্যেই নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045509338378906