ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার গুণগত মান ও সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন, মৌলিক প্রায়োগিক গবেষণা ও প্রকাশনা জোরদার এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের মাধ্যমে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি’ করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান। এছাড়া শতবর্ষ পূর্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাবেক উপাচার্য এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এছাড়া পৃথক পৃথকভাবে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং লন্ডনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি আগামী ২১ জানুয়ারি প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সেমিনার উদ্বোধন করবেন। এছাড়া, লন্ডনে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনের জন্য Her Royal Highness Princess Anne Elizabeth Alice Louise-কে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে Dhaka University Master Plan প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, মৌলিক গ্রন্থ রচনা, জার্নালসমূহ আধুনিকায়ন ও শতবর্ষের উপর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ ও ‘গবেষণা মেলা’ আয়োজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-এলামনাইদের স্বরচিত কবিতা নিয়ে কবিতাগ্রন্থ প্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে রচনা ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মল চত্বরে ল্যান্ডস্কেপিংসহ একটি ‘সেন্টেনারি মনুমেন্ট’ নির্মাণ করা হবে।