শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষক নিয়োগের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এনটিআরসিএর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে, নির্ভেজাল নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে শূন্যপদের ভুল তথ্য সংশোধনের বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে এনটিআরসিএ। ভুল তথ্য সংশোধনের পরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে  নিশ্চিত করেছেন।

চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছি। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য একটি নির্ভেজাল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। আমরা শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেগুলোতে কিছু ভুল দেখা গিয়েছে যা সংশোধন করা হচ্ছে। আজ ১৪ মার্চ পর্যন্ত সেগুলো সংশোধনের সুযোগ পাবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। তারপরও আমরা ভেরিফাই করে দেখবো আরও ভুল আছে কিনা। 

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, আমাদের শূন্যপদের তথ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভুল আসছে। বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও তিন মাসের জন্য কেটে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে আর আমরা সুপারিশ করেছি। সুপারিশ পেয়ে প্রার্থীরা জটিলতায় পড়লে এনটিআরসিএকে দুষছেন। তবে, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। 

কবে নাগাদ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেম ধরে মন্তব্য করতে পারছিনা। তবে, আমরা তথ্য সংশোধন করছি। শূন্যপদের তথ্য পাওয়ার পরে তা যাচাই করে দেখা হবে। তথ্য যাচাইয়ের পরে আমরা একটি তারিখ জানাতে পারবো। শূন্যপদের সংশোধিত তথ্য পাওয়ার পরে আমরা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। 

শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সময় বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এ মুহুর্তে সময় বাড়ানো পরিকল্পনা নেই। তবে, আমরা তথ্য যাচাই করবো। নির্ভেজাল নিয়োগ দিতে চাই। তাই, শূন্যপদের ভুল তথ্য নেই তা নিশ্চিত হয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চাচ্ছি।

জানা গেছে, সম্প্রতি ২য় চক্রে নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ২৮৪ জন শিক্ষককে নতুন করে সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে এখন পর্যন্ত নব্বই জনের বেশি আবারও ভুল পদে সুপারিশ পেয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সে হিসেবে শতকরা ৭ শতাংশ শূন্যপদের তথ্য ভুল আছে। আগে এমপিওবঞ্চিত হয়ে নতুন সুপারিশ পেয়েও যারা সমস্যায় পড়েছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করছে এনটিআরসিএ। তাদের আবারও নতুন পদে সুপারিশ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন কর্মকর্তারা। 

এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন সুপারিশ পাওয়াদের সমস্যা সমাধান ও শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে কাজ শুরু হবে।

এ মুহুর্তে ৫৬ হাজারের বেশি শূন্যপদের তথ্য এনটিআরসিএর হাতে আছে। তবে, যাচাই বাছাই ও সংশোধনে সে সংখ্যা কিছুটা কমবে বলেও ধারণা কর্মকর্তাদের। 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। 

এদিকে ১-১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দ্রুততম সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছে। আর ১৬তম প্রার্থীরা চাচ্ছেন তাদের ফল প্রকাশের পর শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হোক।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024869441986084