বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া চলার কথা থাকলেও এ সময় বাড়িয়েছে এনটিআরসিএ। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য দিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি বিকেল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্যপদের তথ্য দিতে পারছেন।
এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ই-রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে শেষ হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলার কথা থাকলেও সে সময় বাড়িয়েছে এনটিআরসিএ। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য দিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে, ই রিকুইজিশনের সময় আর বাড়ানো হবে না।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে (http://ngi.teletalk.com.bd বা www.ntrca.gov.bd) প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শূন্যপদের চাহিদা দিতে হবে। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শূন্যপদের তথ্য যাচাই করে প্রত্যয়ন বা স্বাক্ষর দিবেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রত্যয়ন না বা স্বাক্ষর ছাড়া শূন্যপদের তথ্য আমলে নেবে না এনটিআরসিএ।
গত শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রার্থীদের। এ জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন। তিনি জানান, ই রিকুইজিশন প্রক্রিয়ায় ব্যপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেউ চাইলেও ভুল তথ্য দিতে পারবেন না।
শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এস এম আশফাক হুসেন। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে সে পদে সুপারিশ করা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত শূন্যপদের চাহিদা দিলে শিক্ষকের শতভাগ বেতন প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বন্ধ করা হবে। আর কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমপিও নীতিমালায়ও এমনটি বলা আছে।