শিক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আরো সুবিবেচনা প্রয়োজন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সরকার দেশের শিক্ষাঙ্গনের গুরুত্ব বিবেচনা করে গতিশীলতার স্বার্থে দুটি আলাদা মন্ত্রণালয় করেছিল। মূল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এতে নিশ্চয়ই কিছু গতি বৃদ্ধি ঘটেছে। তবে করোনাকালে শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে যেসব নিরীক্ষা দেখতে পাচ্ছি তা আমাদের যথেষ্ট স্বস্তি দিতে পারছে না। এ সত্যটি আমাদের মানতে হবে, করোনার মতো ভয়াবহ উপদ্রব মোকাবেলার প্রস্তুতি কারো ছিল না। তাই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়গুলোর বেশ কিছুটা সময় পার হয়ে গেছে। এরপর যেভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত আসছে তাতে মনে হয় শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত রাখার তেমন সুযোগ পাননি। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তেমন স্বস্তি পাচ্ছেন না। এসব প্রসঙ্গ নিয়ে জাতীয় দৈনিকে আমরা লিখে যাচ্ছি। তবে মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। তাই আবারও কড়া নাড়তে হচ্ছে। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

উপসম্পাদকীয়তে আরও জানা যায় গত সপ্তাহে একটি দৈনিকে করোনাকালের শিক্ষা সংকট নিয়ে একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে যথার্থই বলা হয়েছে, শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা কিভাবে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হবে সে সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। অনলাইন ক্লাসের কথা বলা হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু গ্রামগঞ্জের হাজার হাজার স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ক্লাসের সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা যে নেই এই বিষয়টি কোনো বিবেচনার ভেতরই লক্ষ করা যাচ্ছে না। বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের কোনো মানদণ্ড তৈরি করে দেয়নি মন্ত্রণালয়। ফলে বছরের শেষে একটি ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। এই করোনাকালে টিউশন ফি কমানো নিয়ে কথা উঠছে। অসংখ্য বেসরকারি প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তো বেতন দেওয়াই হচ্ছে না। এখন ফি কমিয়ে না হয় অভিভাবকদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হবে; কিন্তু অসংখ্য শিক্ষকের জন্য আর্থিক প্রণোদনা কোথায়! সরকারি চাকরি করছে না বলে এই শিক্ষকরা অর্থকষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করবেন, তাতো হতে পারে না। অথচ তাঁরাই একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিয়ে সরকারের দায়ভার অনেকটা লাঘব করে আসছেন।

কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে মাধ্যমিক পর্যায়ে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার একটি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও এতে তেমনভাবে শিক্ষার চাহিদা পূর্ণ হবে না। তবু এ অবস্থায় আর কী-ই বা করা যেত। এমন এক বাস্তবতায় শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তেমনভাবে বিবেচনায় না রেখে কয়েকটি সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে গ্রহণ করল তা শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেককেই দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে মনে করি, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমি এই মাটির শিক্ষার কথা বলছি। যাঁদের সন্তানরা আমাদের সাধারণ শিক্ষার ছকে পড়ছে না বা বিদেশে পড়াশোনা করছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা এখানে তেমন করে প্রযোজ্য হবে না। আমরা মানছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে চেয়েছে। সংশ্লিষ্টজন নিশ্চয়ই চেষ্টা করেছেন সবচেয়ে ভালো বিকল্প বের করতে। কিন্তু বলতেই হবে মন্ত্রণালয় ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়ার কথা কম ভেবে নিজেদের নিরাপদে রাখার বিষয়টি ভেবেছে বেশি। অথবা বিষয়টির গভীরতা অনুধাবন করতে চায়নি।

প্রথমেই বিবেচনায় রাখার কথা বিশেষ পরিস্থিতিতে ছয় মাস বা এক বছরের ক্ষতি হলেও তা পুষিয়ে নেওয়া যাবে; কিন্তু শিক্ষা-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ভিত্তিতে বড় দুর্বলতা তৈরি হবে। এই যে স্কুল পর্যায়ে অটো পাসে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থী ওপরের ক্লাসে উঠবে, তাহলে সিলেবাসের গ্যাপ পূরণ করবে কিভাবে? একটি ধারণা থেকে এক এক শ্রেণির সিলেবাস তৈরি হয়। সেই পাঠ শিক্ষক ক্লাসে পড়িয়ে শেষ করেন। এই জ্ঞানটি নিয়ে শিক্ষার্থী ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। এভাবেই সে আগের ক্লাসের শিক্ষার সঙ্গে সংযোগ ঘটায় নতুন সিলেবাসের। এখন নিজ ক্লাসের পাঠ সম্পন্ন না করে পরের ক্লাসের সিলেবাসের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষেই কঠিন হয়ে পড়বে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা সম্ভব হলেও স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। এই সত্যটি বিবেচনায় রাখতে হবে যে অনলাইন ক্লাস ও টেলিভিশনে প্রচারিত ক্লাসে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ থাকছে না। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও ভার্চুয়াল ক্লাসে গড়পড়তা ৫০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকছে। সুতরাং শিক্ষাবর্ষের গতিধারা ঠিক রাখতে গিয়ে শিক্ষার্থীর ভিত্তিমূল দুর্বল করে দেওয়ার ক্ষতি আমাদের দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াতে হবে।

কী বিবেচনায় এইচএসসির অটো পাসের ছক করা হলো তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে আমি এর আগেও জাতীয় দৈনিকে লিখেছি। আমরা ভুলে যাই শিক্ষার বিন্যাসে এইচএসসি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এসএসসি পর্যন্ত স্কুল পাঠের ধারাবাহিকতা থাকে। এইচএসসিতে এসে শিক্ষার্থী সিলেবাস ও বইপত্রে একটি নতুন ধাপে প্রবেশ করে। আঙ্গিকটি অনেকটা বড়। তাই এসএসসির ফলাফল যদি জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড়ে করা হয়, তাহলে তা অবশ্যই অবৈজ্ঞানিক হবে এবং অনেক শিক্ষার্থীকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আবার এই ফলাফল নিয়েই শিক্ষার্থী মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেবে। অবস্থা দেখে অনেকটা জগাখিচুড়ি দশাই মনে হচ্ছে।

অনেক কলেজ শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, পরীক্ষা হওয়ার কথা বলায় তাঁরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিল। বিভিন্ন সময় তাঁদের দেওয়া পরামর্শে মনে হয়েছিল, সিলেবাস ছোট করে দিয়ে দুই পত্রকে এক পত্র করে এক সপ্তাহে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে কলেজের কাছাকাছি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের ব্যবহার করা যেত। তবু মূল্যায়ন ছাড়া এইচএসসি অটো পাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব হতো। বিশেষ করে এখন এ দেশের মানুষ যতটা উন্মুক্তভাবে চলাফেরা করছে, অফিস-আদালতে যাচ্ছে, পরিজন নিয়ে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন বেড়াচ্ছে—এর চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতায় এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আগেই পরীক্ষা নেওয়া সমাপ্ত করা যেত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা চলছিল। এর মধ্যে পত্রিকার প্রতিবেদনে জানলাম, উপাচার্য মহোদয়দের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর কর্মপদ্ধতি কী হতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ভাবতে শুরু করেছিলেন। এ সময় আবার প্রতিবেদন বেরোল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা সরাসরি পরীক্ষা নেবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষাকেন্দ্র বসাবে। আমরা মনে করি, বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় সতর্কতার সঙ্গে যে পরীক্ষা নেওয়া যায় এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার মানদণ্ড নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিভাবে ভাবছে তা এখনো জানা যায়নি।

স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে অটো পাসের চিন্তা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ এরই মধ্যে অতি সম্প্রতি দুটি প্রজ্ঞাপন জারি হলো স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায়। একটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্কুল ও মাদরাসার প্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠি। এটি পঞ্চম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সূত্রে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় চিঠিটির পরিসর আরেকটু বড়। এই চিঠিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রচারিত। বিষয়টি ৪১তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২০-এ বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠানোর জন্য নির্দেশনামা। তাহলে বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে শিক্ষার্থীদের জড়ো করার উদ্যোগ তো সরকারি প্রতিষ্ঠানই নিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী জানা হলো না। আমি জানি না, এসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে কি না। দেখা যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম থেমে নেই। তাহলে কেন স্বাস্থ্যবিধি মান্য করিয়ে সতর্কতার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসর ও সিলেবাসে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা গেল না। একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গা না বাঁচিয়ে একটু ঝুঁকি কি নেবে না? এ পর্যন্ত পত্রপত্রিকার নানা লেখা ও বিশ্লেষণে বিভিন্ন বিকল্প উপায় উত্থাপনের চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেসব বিবেচনা করার অবকাশ কোথায় বিধায়কদের!

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘ সেশনজটে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। করোনা সংকট শুরু হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক বিভাগে অনার্স ফাইনাল ও মাস্টার্সের বেশির ভাগ পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কারো এক-দুটি পরীক্ষা বাকি, কেউ হয়তো মৌখিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ইউজিসির এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত ছিল। অনলাইনে এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা মোটেও কঠিন ছিল না। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করতে পারল না কর্তৃপক্ষ। শুরুতেই যদি এই শিক্ষার্থীদের সংকট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারত এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তে আসতে পারত, তাহলে এসব শিক্ষার্থী অনার্স ও মাস্টার্সের সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে চাকরির যুদ্ধে নামতে পারত। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বড় রকমের ক্ষতির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আমাদের মনে হয়, প্রকৃত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে লাগসই সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন মন্ত্রণালয়ের। ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষজ্ঞদেরও হতাশ শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মী হয়ে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।

লেখক : এ কে এম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথের কাহিনী - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথের কাহিনী সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029950141906738