শিক্ষা ও নৈতিকতায় অবদান : সম্মাননা পেলেন ৬ শিক্ষক

ঢাবি প্রতিনিধি |

শিক্ষা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ছয় শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা দেয়া হয়েছে।

 ঢাবির ৬ শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা। ছবি: সংগৃহীত

নৈতিকতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ তাদের দশ বছর পূর্তিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- সাবেক জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ এবং ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি বলেন, “আমরা এখন বড্ড বেশি আমিত্বতে ঢুকে গেছি। এটি অনেক বেশি পাশ্চাত্যের প্রভাব। এই আমিত্ব থেকে বেরিয়ে আমরা হতে আমাদের আরও বেশি জোর দেয়া প্রয়োজন। মুজিববর্ষে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন অনন্য এক বাংলাদেশ গড়ে তোলার।”

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের জায়গাটিতে সরকার কাজ করছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় খুব বেশি কারও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এই নিয়োগ একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে হয় সেজন্য অনুসরণীয় একটি ন্যূনতম যোগ্যতার নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ অনকে দূর এগিয়ে গেছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটও করা হবে। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকতাই আমার জীবন। এর বাইরে আমার কোনো জীবন নেই। জীবনে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছি বলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। কেননা শিক্ষকতা একটি মহান পেশা।’

এম এম আকাশ বলেন, ‘শিক্ষককে শিক্ষা দেবে কে? এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কেননা শিক্ষক ভালো না হলে তার ছাত্রও ভালো হবে না। সেই ছাত্র শিক্ষক হলে তার মাধ্যমে আরও খারাপ ছাত্র হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়। এটি দূর করতে হলে শিক্ষক নিয়োগ স্বচ্ছ হতে হবে।’

অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বহুদিন ধরে শিক্ষতা করছি। এই কাজ করে আমি আনন্দ পাই। কেননা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমি নতুন প্রজন্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029201507568359