ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিলের দাবিতে সম্পাদক পরিষদের ৭ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজে ও ডিইউজে (একাংশ) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে নেতারা এ সমর্থন জানান। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার জন্য সম্পাদক পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সম্পাদক পরিষদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি। সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি দিন। এছাড়া মুক্ত সাংবাদিকতা ও বাকস্বাধীনতার স্বার্থে নিজেদের দাবির মধ্যে কালো আইন বাতিলের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতি অভিনন্দন ও সমর্থন জানাচ্ছি।
সরকারের প্রতি আসন্ন সংসদ অধিবেশনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। সেই সঙ্গে এই আইন বাতিলের দাবিতে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান।
প্রবীণ সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটানো হয়েছে।
বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা না হলে সাংবাদিকরা এই আইন অমান্য কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে কালো আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাস্তায় নেমেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকরা। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এই আইন বাতিলের দাবি জানান তিনি।
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সহ সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, সহ সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সহকারি মহাসচিব আহমেদ মতিউর রহমান, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ডিআরইউর সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, মুরসালিন নোমানী, সাবেক সহ সভাপতি জিয়াউল কবির সুমন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মাইনুল হাসান সোহেলসহ শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন। অবস্থান কর্মসুচিটি সঞ্চালন করেন ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু ও এইচএম আল আমিন।