সাময়িক বহিষ্কারে খুশি নন আবরারের বাবা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে খুশি নন তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ। আসামিদের আজীবন বহিষ্কার চান তিনি। তবে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আজ শুক্রবার বৈঠকে করে যে সিদ্ধান্তগুলো জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ  তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আলোচনাকালে উপাচার্য বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং আবরার হত্যা মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র‍্যাগিং বন্ধ হবে। উপাচার্য জানান, সরকার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে আশ্বস্ত করেছে।

আবরারের বাবা আজ সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে বলেন, সাময়িক বহিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। পরে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আবরারের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে হারিয়েছি। এর চেয়ে বড় ক্ষতি কী হতে পারে। এই ক্ষতি কোনোভাবে পূরণ হতে পারে? পারে না।’ তাঁর দাবি, দ্রুত অভিযোগপত্র দিয়ে সব আসামির ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু রায় হলেই হবে না, ফাঁসিও যাতে দ্রুত কার্যকর হয় সেটাই বুয়েট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

র‍্যাগিং বন্ধ, সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আবরারের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারানোর মধ্য দিয়ে আরও শত শত ছেলের জীবন যেন ভালো থাকে; এসব সিদ্ধান্তের জন্য উপাচার্যকে ধন্যবাদ। আর যেন কোনো বাবা-মা তাঁর সন্তানকে না হারায়।’

এদিকে শুক্রবার বাদ জুমা আবরারদের গ্রামের মসজিদে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আবরারের কবর জিয়ারত শেষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তাতে আবরারের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আশপাশের গ্রামের মানুষ অংশ নেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032510757446289