দুর্বৃত্তের হামলায় আহত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ছয় দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। গত সোমবার দুপুরে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়, আজ শনিবারও তার চেতনা ফেরেনি।
ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়ক বিলকিস বেগম আজ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে এখনো চূড়ান্ত ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয় নবম শ্রেণির এই ছাত্রী।
ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থা জানতে শনিবার দুপুরে কথা হয় আইসিইউর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে। তিনি বলেন, রোগীর হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ভালো। কিন্তু চেতনার মাত্রা কম। এ রকম ইনজুরির ক্ষেত্রে রোগীর চেতনা ফিরতে আরও সময় লাগতে পারে। তবে রোগীকে এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
ওই চিকিৎসক বলেন, আঘাতে মেয়েটির মস্তিষ্কের চারপাশের পর্দা ছিঁড়ে গেছে; টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথার তালুর হাড়ও ভেঙে বসে গেছে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হয়েছে। চোখেমুখে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল বোর্ডের প্রাথমিক তদন্তে মেয়েটির ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’
সন্দেহভাজন হিসেবে ওই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বানদীঘি গ্রামের মো. মাহাবুল (৪০) ও এযাবুল সরকারকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে কালাই থানার পুলিশ। তাঁরা দুজনেই ওই ছাত্রীর প্রতিবেশী।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ বর্মণ বলেন, রিমান্ডে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দ্রুতই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা যাবে। ভিকটিমের যেহেতু চেতনা নেই, তাই তদন্তে দেরি হচ্ছে। বিশ্বজিৎ বর্মণ বলেন, মাহাবুলের বিরুদ্ধে কালাই থানায় চুরি, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা রয়েছে। এযাবুল এলাকায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে অনেক সালিস হয়েছে।