স্কুল-কলেজে ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হোক

সালাহ্ উদ্দিন নাগরী |

যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত- বহু পুরনো ও নির্ভেজাল একটি কথা। আমাদের দেশে শিক্ষিতের হার ৭২.৯। স্কুলে শিক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট বেড়েছে। নারী শিক্ষায় অগ্রগতি এসেছে।

দিন দিন স্কুল-কলেজ, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেড়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে, সেগুলো শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে পারছে বলে মনে হয় না। ভালো শিক্ষকের জোগানও হয়তো দেয়া যাচ্ছে না। সে জন্য কোয়ালিটি এডুকেশনের চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।

ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ের প্রথম দু’হাজারে আমাদের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। উদ্ভাবনী কার্যক্রমে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে। আমাদের মৌলিক গবেষণা ধর্তব্যে আসে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো মেধাবী ব্যক্তির অসাধারণ কৃতিত্বের বিপরীতে আমাদের সমষ্টিগত উৎকর্ষতা এখনও সন্তোষজনক পর্যায়ে উপনীত হয়নি।

সঙ্গত কারণে প্রশ্ন জাগে, পরবর্তী প্রজন্মকে যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদানে আমরা কি ব্যর্থ হচ্ছি? আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কি যুগ-চাহিদানির্ভর শিক্ষা কার্যক্রমে প্রস্তুত হতে পারেনি? কোয়ালিটি এডুকেশনের ক্ষেত্র তৈরিতে আমাদের নীতি প্রণয়ন, উপস্থাপন ও প্রয়োগে কি অধিকতর সমন্বয়ের দাবি রাখে না?

শহরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী-শিক্ষক তার শ্রেণীর সব শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চেনে না। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কটি অনেক ক্ষেত্রেই হালকা হয়ে গেছে। ৭০-৮০-র দশকে দেখেছি, আমাদের স্কুলের সব শিক্ষক স্কুলের প্রায় সব ছাত্রকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন, ছাত্রদের পারিবারিক খোঁজখবর রাখতেন। সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য এই সম্পর্কটা অত্যন্ত জরুরি। শহরের নামিদামি স্কুলগুলোতেও এই দিকটা নিয়ে কোনো আগ্রহ সচরাচর দেখা যায় না। যেটা একজন শিক্ষাথীর সুষ্ঠু প্রতিভা বিকাশের অন্তরায়।

শিক্ষকদের ছাত্রের মা-বাবা, পারিবারিক পরিবেশ সম্পর্কে প্রাইমারি ধারণা থাকলে ছাত্রদের গাইড করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়ে ঘাটতি বা ঝোঁক আছে, ভবিষ্যতে কোন পেশায় তার ক্যারিয়ার গড়লে ভালো হবে- এ বিষয়গুলো নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষকের কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। একজন শিক্ষার্থী তার লেখাপড়ায় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করে তাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এ বিষয়গুলো ভালোভাবে অনুধাবন করার জন্য ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকের ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় ও যোগাযোগ অত্যন্ত প্রয়োজন।

শহরের নামিদামি স্কুলগুলোর অভিভাবকের পক্ষে তার সন্তানের লেখাপড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা কিংবা আলোচনা করার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো কোনো স্কুলের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা তো দূরের কথা; সশরীরে হাজির হয়েও তাদের ত্রিসীমানায় ঘেঁষা যায় না। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষের ফিক্সড ফোনে রিং করা হলে সাধারণত কেউ তো ধরেই না, সৌভাগ্যবশত ধরলে তার কাছে ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ এবং নিজের জীবন-বৃত্তান্ত বর্ণনা করতে হয়; তারপর উত্তর আসে, ‘উনি এখন ব্যস্ত, কথা বলতে পারবেন না।’ হায়রে আমাদের ব্যস্ততা!

পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষটির সঙ্গেও তো কথা বলা যায়, সাক্ষাৎকারের সময় পাওয়া যায়। কিন্তু ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না। অনেকেই বলে থাকেন, বাহ্যিক দেমাগ ও ঠাটবাট বজায় রাখার জন্য ওইসব স্কুলের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ব্যস্ততার ভান করে কোনো সাক্ষাৎ প্রার্থীকে এলাউ করে না।

একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক যদি প্রয়োজনে তার সন্তানের শিক্ষকের সঙ্গে দেখাই করতে না পারে, তবে কীভাবে ওই সন্তানের সমস্যা ও দুর্বলতাগুলো সমন্বয় করা হবে? সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের এই যুগে একটি শিশুর কচি-কোমল মনটি সঠিকভাবে বিকশিত করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সহজ, সরল ও সাবলীল সম্পর্ক বড় বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

মনে রাখতে হবে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম এবং প্রধান ক্লায়েন্ট তার শিক্ষার্থী এবং তার পরেই তাদের অভিভাবক। একজন শিক্ষক বা একটি প্রতিষ্ঠান তার এতবড় স্টেকহোল্ডারকে কোনোভাবেই পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবক বা যারা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে চায়, তাদের জন্য দিনের একটা সময় আলাদাভাবে বরাদ্দ রাখতে হবে।

শিক্ষকরা যদি এতই ব্যস্ত থাকে বা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তিবোধ করে, তাহলে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ‘পাবলিক রিলেশন অফিসার’ নিয়োগ দিতে পারে। তারা প্রতিষ্ঠানের স্টেকহোল্ডার ও শিক্ষকমণ্ডলীর মিডিয়া হিসেবে কাজ করবে। শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-অভিভাবক পরস্পর সম্প্রীতি ও যোগাযোগের বিকল্প নেই। এ বিষয়টি নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বুঝতে চায় না বা বুঝতে পারে না।

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীই মেধাবী ও মনোযোগী হবে এবং সবাই ভালো রেজাল্ট করবে, তা আশা করা ঠিক না। চঞ্চল, লেখাপড়ায় আগ্রহ কম ও অমনোযোগী ছেলেমেয়ে থাকতেই পারে; তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগী ও নিয়মিত করার জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে ম্যানেজ করতে হবে। ভুলত্রুটি মানুষই করে এবং অল্প বয়সে এ ভুলের মাত্রা বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সে জন্য প্রথম ব্যত্যয়ে পরীক্ষা বাতিল করে টিসি দিতে হবে? অভিভাবক ডেকে রূঢ় আচরণ, অসম্মান করতে হবে? এটা কোনো সমাধান নয়।

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ জীবন-জগৎকে যেভাবে বিশ্লেষণ করে, একজন শিশু ও কিশোর সেভাবে পারে না। তাদের জীবনের ক্যানভাস, চিন্তার পরিধি অনেক ছোট। তাদের কাছে জীবনের মূল্য ও উপলব্ধি ভিন্ন রকম। তাই তাদেরকে প্রতিটি বিষয় শিখিয়ে ও বুঝিয়ে দিতে হবে। এই জায়গাটিতে আমরা বারবার হেরে যাচ্ছি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওই ধরনের শিশুদের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে।

একজন শিক্ষার্থীর যদি কোনো বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয় বা ঠিকভাবে বুঝতে না পারে, তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে পাঠদান পদ্ধতি পুনঃপরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, শিক্ষার্থীকে তার মতো করে বোঝানোর পথ বের করতে হবে। আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি মতে, শিক্ষার্থীর বিফলতার দায়ভার শিক্ষককেও নিতে হয়। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এ ধরনের পদ্ধতির কোনো চর্চা ও বালাই নেই; সব দোষ শিক্ষার্থীর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি’ প্রবিধানমালার আলোকে গঠিত ‘পরিচালনা কমিটি/ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি’ কর্তৃক পরিচালিত হয়।

ওই কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা, আর্থিক, প্রশাসনিক কার্যক্রম, লেখাপড়ার মান, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম দেখভাল করে থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ/সমন্বয়ের দায়িত্বটা অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থেকে যায়।

এ বিধিমালায় কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে ‘ক্ষমতা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা বড় বেশি ক্ষমতা পিয়াসী হয়ে গেছি। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে ‘ক্ষমতা’ হিসেবে জাহির ও প্রয়োগ করাটা বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মনে রাখতে হবে, ক্ষমতার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। তাই এগুলোকে ‘কর্তব্য’ মনে করে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে মনের মধ্যে অহংবোধ আসবে না। প্রতিষ্ঠানের সেবায় নিজেকে সর্বোতভাবে নিয়োজিত করা যাবে।

শিক্ষকদের পাশাপাশি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরও শিক্ষার্থীদের অভাব-অভিযোগগুলো সমাধানে সক্রিয় হতে হবে। কমিটির সদস্যদের অসেচতন অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। একজন শিক্ষার্থী কী ধরনের পারফরমেন্স করছে, কীভাবে তার লেখাপড়ার মান আরও বৃদ্ধি করা যায়; অভিভাবককে তা অবহিত করার দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিতে হবে।

সন্তানকে স্কুলে পাঠালে এবং গৃহশিক্ষক নিয়োগ দিলেই সন্তানের লেখাপড়া সংক্রান্ত অভিভাবকের সব দায়িত্ব সম্পন্ন হয়ে গেল মনে করার কোনো কারণ নেই। স্কুলের বাইরে সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে, বাসায় ঠিকভাবে লেখাপাড়া করছে কিনা, বিষয়গুলো লক্ষ রাখার দায়িত্ব কিন্তু অভিভাবকের ওপর বর্তায়।

অনেক অভিভাবক, শিক্ষক বিশেষত গৃহশিক্ষকের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করেন না। রেজাল্ট খারাপ হলে সব দোষ যেন স্কুলের শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকের। আমাদের এ মনোবৃত্তি থেকে সরে আসতে হবে। শিক্ষকের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও কিছু কিছু দায়-দায়িত্ব শেয়ার করতে হবে। আমাদের সন্তানদের কখনও জীবন-জগতের দর্শন বুঝিয়েছি? জীবনের বিরাটত্ব সম্পর্কে জ্ঞান দিয়েছি?

যে কোনো হঠকারী কঠিন সিদ্ধান্ত অপেক্ষাও জীবন যে আরও অনেক বড়, তার দায় যে আরও অনেক বেশি; কখনও কি তাদের বুঝিয়েছি? কতজন অভিভাবক সন্তানকে ঠিকভাবে সময় দিয়েছি? সারা দিনের অন্তত একটি বেলার খাবার সন্তানকে নিয়ে একত্রে খেয়েছি? তাদের পরম বন্ধু হয়েছি? ধর্মীয় নীতিকথা ও বড় বড় মনীষীদের জীবনী, বিরূপ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে তাদের বেড়ে ওঠার কাহিনী কি সন্তানের সামনে তুলে ধরেছি? আসুন না, নিজের চোখ বন্ধ করে এ হিসাবগুলো একবার মিলিয়ে নিই।

কিছুদিন আগেও সন্তানরা পাঠ্যবইয়ের নিচে দস্যু বনহুর/মাসুদরানা রেখে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়লে অভিভাবকের কাছে সেটাই হতো বড় অপরাধ। এখনকার যুগে ক্লাস-লেকচারের রেফারেন্স সংগ্রহে ওয়েবসাইট সার্চের অজুহাতে সন্তান যে পথ হারিয়ে ফেলছে; সে বিষয়ে ক’জন অভিভাবক সতর্ক হয়েছি? সন্তানকে সঠিক পথে রাখার জন্য যতদূর পারা যায়, তাদের মনের গহিনে প্রবেশের চেষ্টা করতে হবে, সঠিক পথের দিশা দিতে হবে। সন্তানের কাছে মা-বাবাকে রোল-মডেল হতে হবে। তাহলেই একজন সন্তান যোগ্য শিক্ষার্থী হয়ে বেড়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।

 

লেখক : সরকারি চাকরিজীবী

 

সৌজন্যে: যুগান্তর


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027399063110352