৫ শতাংশ প্রণোদনায় বৈষম্য কাম্য নয়

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

প্রধানমন্ত্রী নেত্রী শেখ হাসিনাকে শুধুমাত্র কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণার জন্য অভিনন্দন রইলো। এতে সর্বাধিক উপকৃত হবেন ১ থেকে ১০ম গ্রেডের কর্মচারীরা। বৈষম্যের বেড়াজালে কিঞ্চিত উপকৃত হবেন ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। সকল কর্মচারীরা একই বাজার থেকে একই দামে জিনিসপত্র ক্রয় করে থাকেন। পাঁচ শতাংশ  প্রণোদনায় সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা সর্বোচ্চ প্রায় ৫০০০ টাকার বেশি বৈষম্য। কারো মাথায় এতো তেল দেয়া হয়েছে যে, সারা শরীর উপচে তেল মাটিতে পড়ে। আর কারো মাথায় তেলের চিহ্ন তেমন দৃশ্যমান নয়।

বঙ্গবন্ধু আজীবন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তারই সুযোগ্য কন্যার শাসনামলে এ বিশাল বৈষম্য কাম্য নয়। কর্মচারীদের বেতনের স্কেলের বৈষম্যসহ প্রণোদনার বৈষম্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনা প্রয়োজন। এখনো পাঁচ শতাংম বেতন বৃদ্ধির আওতায় আসেনি অবসরভোগী সরকারি কর্মচারী, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কমচারীসহ প্রাথমিকের দপ্তরি সমাজ। আশা করি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সুনজর এদের ওপর বর্তাবে। পেনশনভোগীদের মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন সিনিয়র ও শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীরা। তাদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা মাত্র ২৫০০ টাকা। বয়সের ভারে রোগেশোকে প্রবীনরা অচল। তাদের চিকিৎসা খরচ যুবকদের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে ওষুধের দাম ও চিকিৎসা ব্যয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, জুনিয়র পেনশনভোগীদের চেয়ে সিনিয়র পেনশনভোগীদের প্রাপ্তির বৈষম্য বিশাল। সবচেয়ে বেশি, নিদারুণ সীমাহীন কষ্টে আছেন শতভাগ পেনশনসমর্পণকারীরা। তাদেরতো বেতন প্রাপ্তিই নেই, এদের পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধির আওতায় প্রশ্নই আসে না। সিনিয়র পেনশনভোগীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, শতভাগ পেনশনসমর্পণকারীদের ১৫ বছরের স্থলে ১০ বছর পেনশন প্রতিস্থাপন হোক আজকের প্রত্যাশা। 

প্রাথমিকের দপ্তরিরা এবারে অনেকে ঈদুল আজাহার বোনাস থেকে বঞ্চিত। ধার-কর্জ করে অনেকে এবারে ঈদের আনন্দে শরিক হয়েছেন। কেউ ঈদ বোনাস পাবেন, কেউ পাবেন না। এ বৈষম্য কাম্য নয়। সকল দপ্তরির ঈদের পর অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে ঈদ বোনাস নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিবের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ঈদের আনন্দ হোক সকলের। 

লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ ও সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথের কাহিনী - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথের কাহিনী সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044758319854736