৬ বিয়ের পর শ্যালিকাদেরও কুপ্রস্তাব স্কুলশিক্ষকের

বরগুনা প্রতিনিধি |

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় এক স্কুলশিক্ষককে চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ৬ষ্ঠ স্ত্রী মোসা. রনী বেগম। তার স্বামী মো. ফরিদ আলম চরদুয়ানী ইউপি’র মঠেরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। রনী বেগম পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউপি’র দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের মো. মজিবর রহমান সিকুর বড়  মেয়ে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোসা. রনী বেগম বলেন, তার স্বামী মঠেরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফরিদ আলম, গত ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তাদের বিয়ে হয়। তিনি নিজেকে তার ৬ষ্ঠ স্ত্রী দাবি করে বলেন, মো. ফরিদের বিবাহিত তার আগের স্ত্রীদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার কথা বলায় তাকে সরল বিশ্বাসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি আগে চরদুয়ানী ইউপি’র নাজমা  বেগম, নাচনাপাড়া ইউপি’র মনিরা বেগম, বরগুনা সদর উপজেলার লাবনী ও লায়লা  বেগম, পাথরঘাটা ইউপি’র রুমা বেগমকে বিয়ে করেন। এখন তিনি সহ লায়লা তার অন্য স্ত্রী রুমার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক আছে। রনীর ঘরে সাত বছরের মিথিলা নামে এক মেয়ে আছে। তাকেও মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছিল সে।

তিনি আরো বলেন, তার স্বামী ফরিদ চরিত্রহীন। প্রায়ই আমার ছোট বোনদের কুপ্রস্তাব দিত। সংবাদ সম্মেলনে রনীর মা বকুল  বেগম ও মেয়ে মিথিলা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে স্বামী মো. ফরিদুল আলম জানান, রনী বেগম ছাড়া তার কোনো স্ত্রী নেই। মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে তার স্ত্রী রনী ও শ্বশুর মো. মজিবর রহমান সিকু। জমি বিক্রি করার কথা বলে আটলাখ টাকা নিয়ে জমি বা টাকা  কোনোটাই ফেরত না দেয়ায় তাদের মধ্যে এ কলহ সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ফরিদ তার স্ত্রী রনীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন এবং বলেন, তার শ্বশুর একজন চিহ্নিত অপরাধী। ধর্ষণ, মাদক ও হরিণ চুরিসহ বন আইনে তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা চলমান। এ কারণে বর্তমানে তিনি জেলে আছেন।

ফরিদ আলম আরো জানান, তার আভিযোগ স্ত্রী রনী ও শ্বশুর মো. মজিবর রহমান সিকুর মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পাথরঘাটা থানার এক এসআইকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে। সে পুলিশ কর্মকতার স্ত্রীকে ফেলে পালিয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক নেতা বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে। মামলায় পড়ে একবার তিনি হাজত বাস করেছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028331279754639