পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় প্রতিবেশীর ধর্ষণে এক স্কুলছাত্রীর ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২ জুন) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত ফিরোজ মোল্লা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ মোল্লা শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দরিদ্র কাঠমিস্ত্রির মেয়ে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর যাতে ঘটনা কাউকে না বলে, তারজন্য মেয়েটিকে সে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার চার মাস পর মেয়েটির স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন আসলে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এরপরে বিষয়টি স্থানীয় এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে ধর্ষক ফিরোজ মোল্লা সামাজিকভাবে ফয়সালার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। শুক্রবার দুপুরে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করলে তার পরিবার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভান্ডারিয়া শহরের এক ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে। এ সময় মেয়েটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পরে।
পুলিশ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারসহ সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ মোল্লাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ভান্ডারিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঘটনার দিন বিকালে জরুরি কাজে ভাইয়ের বাড়িতে যান তিনি। তার বাড়িতে ফিরতে রাত হয়। এসময় তার স্বামী কাজে বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে লম্পট ফিরোজ মোল্লা ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষক মেয়েকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।