১০ জুনের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয়করণের ঘোষণা না দিলে আগামী ৮ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করবেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। লাগাতার ধর্মঘটের আগে আগামি ১১ জুন থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে উপজেলা শিক্ষক প্রতিনিধি দল মতবিনিময় ও স্মারকলিপি দেবে।
বুধবার (৩০ মে) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মানবন্ধন শেষে জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছায়, শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষা সচিবের মাধ্যমে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।’ কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আশায় আমরা মর্মাহত। আগামি ১০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রাথমিকের ন্যায় জাতীয়করণের ঘোষণা না দিলে ৮ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করবো। তবে লাগাতার ধর্মঘটের আগে ১১ জুন থেকে আমাদের উপজেলা শিক্ষক প্রতিনিধি দল স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও স্মারকলিপি দেবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী,সমিতির উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ সম্পাদক সাগর আহমেদ শাহীন,আওয়ামী লীগ নেতা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী। উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মাও: নজরুল ইসলাম হিরন, সহ সভাপতি মাওলানা মো: শাহজাহান,যুগ্ম সম্পাদক আবু মুছা ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শামছুল আলম, দপ্তর সম্পাদক ইনতাজ বিন হাকিম, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, সরদার কামাল উদ্দিন, নাসরিন বেগম, ফেন্সী খাতুন প্রমুখ।
এর আগে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। পরে ৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অামরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। টানা ৮ দিন পর সরকারের পক্ষে আশ্বাস দিয়ে ১৬ জানুয়ারি মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর শিক্ষকদের অনশন ভঙ্গ করান।
জানা যায়, মাদ্রাসা বোর্ডের নিবন্ধন পাওয়া ১০ হাজারের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা আছে। এতে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। মাত্র এক হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক দুই হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন