সেবা দিতে না পারলে শিক্ষকতা ছাড়ার পরামর্শ রাবি উপাচার্যের

রাবি প্রতিনিধি |

সেবা না দিতে পারলে শিক্ষকদের শিক্ষকতা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান।শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাবির সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ৬১ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষকেদের এ পরামর্শ দেন।

বর্তমান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় বলি সবগুলোর সঙ্গেই বিদ্যালয় আছে। যেখানে বিদ্যা শেখানো হয়। আপনারা বিদ্যা শেখানোর মহান দায়িত্বটিই পালন করছেন। এই সন্তানদের দায়িত্ব নিয়ে কখনোই অবহেলা করবেন না। নিজের সন্তানের মতো শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে না পারলে শিক্ষকতায় আসার কোনো দরকার নেই।’

রাবি উপাচার্য বলেন, ‘মানুষকে সভ্য করে তোলে শিক্ষা। আর আপনারা দীর্ঘ সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে আজ আমরা আপনাদের সংবর্ধনা জানাতে পারছি।’

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ওপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। আর এ কাজটি হতে পারে দক্ষ ও ভালো শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে। যদি ভালো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না যায়, তবে তার প্রভাব ৪০টি বছর থেকে যায়। আর এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনোদিনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ খারাপ-অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান যেমন কমবে, তেমনিভাবে শিক্ষক পদটিও অসম্মানিত হবে। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।’

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখের- ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জালাল উদ্দিন ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক এম এ রাজ্জাক। এ সময় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের ক্যাম্পাস জীবনের নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন ও শিক্ষক সমিতির এ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035679340362549