স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা, সুইপারকে ২০ বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

হাটহাজারী থানার ধর্ষণের মামলায় আপন চন্দ্র মালি (৫২) নামে বিদ্যালয়ের এক সুইপারকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহান এ রায় দেন।

এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই থানার ফরহাদাবাদ এলাকার মালি বাড়ির মৃত উমেশ চন্দ্র মালির ছেলে আপন চন্দ্র মালিক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ বড় ভাইকে খাবার পৌঁছে দিতে কাটিরহাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রী। বিদ্যালয়ের সুইপার আপন চন্দ্র মালি ওই ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় ওই ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষের দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে আপন চন্দ্র তাকে বিদ্যালয় ভবনের নীচে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। পরে  সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এ ঘটনা ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২৬ জুলাই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. তানজির হোসেন আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রাশেদুল আলম রাশেদ বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টায় সাত জনের সাক্ষের ভিত্তিতে আপন চন্দ্র মালি নামে এক সুইপারকে পৃথক ধারায় ২০ বছর কারাদণ্ড ও ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও দন্ডবিধির ৩০৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026957988739014