পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের একাদশ ও দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মোট ৫ হাজার ৭৫৭ জনের নাম ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র প্রকাশের মেয়াদ অবশ্য ডিভিশন বেঞ্চ ২৮ জুলাই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
২১ জুলাইয়ের মধ্যে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের একাদশ ও দ্বাদশে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা ও উত্তরপত্র প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোনো নিয়োগের পিছনে দুর্নীতি আছে কি না, তা জানতে নিয়োগের মেধাতালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা সরকার নামের এক প্রার্থী। সিঙ্গল বেঞ্চ তালিকা ও উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চও বহাল রাখে সেই নির্দেশ।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। সিবিআই তদন্তের অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বর বদলে গিয়েছে। তাই এক্ষেত্রে নিয়োগে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেছিলো কি না, সেটাই জানতে চায় আদালত। এসএসসির তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ৫ হাজার ৭৫৭ জনের নামের পাশাপাশি রয়েছে স্কুল, জেলা, বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে।
আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়ার পর ববিতা সরকার হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। তার বক্তব্য ছিলো, ওই বছর নিয়োগ হয়েছে, এমন কারও চাকরি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, সে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন ববিতা। তাই মেধাতালিকা ও ওএমআর প্রকাশের আর্জি জানান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শূন্য পদে চাকরির জন্যই এ আবেদন জানান তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আর্জি মঞ্জুর করে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে অবৈধভাবে চাকরি দেয়া হয়েছে বলে আদালতে মামলা করেছিলেন ববিতা। সেই মামলায় তদন্তের শেষে অঙ্কিতার চাকরি ববিতাকে দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে আরেক প্রার্থী জানান, তার নম্বর ববিতার থেকে বেশি। তখন তাকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু হাল ছাড়েননি ববিতা।