আরাকান আর্মির তৎপরতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন |

মিয়ানমারের জুড়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত বেগবান হচ্ছে এবং ব্রাদারহুড এলায়েন্সের কাছে সেনাবাহিনীর অবস্থানগুলোর পতন হচ্ছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এ এ) ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে জোটবদ্ধ হয়ে ব্রাদারহুড এলায়েন্স গঠন করে এবং অপারেশন ১০২৭ নামে জান্তার উপর সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা প্রথমবারের মতো এ ধরনের আক্রমনের সম্মুখীন হয়।

অপারেশন ১০২৭ এর অংশ হিসেবে ১৩ নভেম্বর এ এ, রাথেডং, মংডু ও মিনবাইয়া শহরে পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে এ এ জাতিগত রাখাইন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ এ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে জান্তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওপর এই আক্রমণ চালায়। চীন সীমান্তের কাছে শান রাজ্যের সেনা ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি ১৬ নভেম্বর এ এ’র যোদ্ধারা রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ে থেকে ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পাউকতাও শহরের পুলিশ স্টেশন দখল করে। ২১ নভেম্বর রাখাইন রাজ্যের পাকতাও শহরে এ এ  অপারেশন ১০২৭ এর অংশ হিসেবে জান্তার অবস্থানে আক্রমণ চালালে জান্তা বিমান ও গানবোট দিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। পরে পুলিশ এবং জান্তার প্রতিনিধিরা আত্মসমর্পণ করলে এ এ পাউকতাও শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

এ এ  ৩ জানুয়ারি দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপের চিন লেট ওয়াতে মিয়ানমার জান্তা ফাঁড়ি দখল করে। ৪ জানুয়ারী তারা পালেতোয়াতে আরও দুটি জান্তা অবস্থানে আক্রমণ করে এবং পালেতোয়া ও দক্ষিণে রাখাইন রাজ্যে একটি ‘জান্তা-মুক্ত-জোন’ প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। গত ৬ জানুয়ারি এ এ উত্তর রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকতাউ টাউনশিপের বড় তাউং শায় তাউং ঘাঁটিতে  আক্রমণ চালায় ও একটি জান্তা ফাঁড়ি দখল করে। এখানে জান্তার নবম সামরিক অপারেশন কমান্ড এবং ৫৫ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সৈন্যরা দায়িত্ব পালন করছিলো। 

ব্রাদারহুড এলায়েন্স ৭ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের দক্ষিণে–চকপিউ টাউনশিপের দানিয়াওয়াদ্দি নৌ ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় ও সেনাবাহিনী তাদের পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রাখতে ৮ জানুয়ারি চকপিউ টাউনশিপ সংলগ্ন রামরি শহরেও সংঘর্ষ শুরু হয়। এখানে জান্তার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কোম্পানি নৌঘাঁটির ভেতরে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একটি সাবমেরিন বন্দর তৈরির কাজ করছে। ১৪  জানুয়ারি এ এ চিন রাজ্যের পালেতোয়ার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং একাধিক সামরিক ফাঁড়ি দখল করে। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত পালেতোয়া বাণিজ্য রুটের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। পালেতোয়াতে ভারতের অর্থায়নে ৪৮৪ মিলিয়ন ডলারের কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের কাজ চলছে। এ এ পালেতোয়াতে ২৮৯ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরসহ ২৪টি জান্তা অবস্থান দখল করে। এই সদর দপ্তর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত সমস্ত সামরিক চৌকির জন্য রসদ সরবরাহ করা হতো। 

এরপর ১৫ জানুয়ারি রাথেডাং টাউনশিপেও সংঘর্ষ শুরু হয়। ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ) রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকদেরকে জান্তার বিমান আক্রমণ থেকে  সতর্কতা অবলম্বন করতে বলে। ১৬ জানুয়ারি জান্তা পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে বোমা হামলা চালায়। জান্তা গানবোট থেকে বোমার আঘাতে মিনবিয়া টাউনশিপের একটি গ্রাম নিশ্চিহ্ন করে দেয়।

রাখাইন রাজ্যের কিউকতাও টাউনশিপের কাছে দায়িত্ব পালনরত ৫৩৯ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ১৬ জানুয়ারী এ এ কাছে আত্মসমর্পণ করে। ১৪ জানুয়ারি এ এ’র কাছে আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের পতনের পর ৫৩৯ এল আই বি আত্মসমর্পণ করে। ১৪ জানুয়ারি এ এ মংডু শহরে একটি ঘাঁটি দখল করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করে। 

এ এ রাখাইন রাজ্যের চকপিউ সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকায় নভেম্বর থেকে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জান্তা নির্বিচারে বিমান ও আর্টিলারি আক্রমণ চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত করেছে। চকপিউ টাউনশিপের কাছে রামরি টাউনশিপে চলমান লড়াইও এই প্রকল্পের অগ্রগতি ব্যহত করছে। চীনের কুনমিংকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর চকপিউ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। রাখাইন রাজ্যের চকপিউ টাউনশিপে চীনের সহায়তায় একটি বিশাল সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে জান্তা কাজ করছে। একই সঙ্গে জান্তা ও ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুসারে সরকার এবং জোট উভয়কেই চীনা বিনিয়োগ রক্ষা এবং মিয়ানমারে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১২ জানুয়ারি চীনের মধ্যস্থতায় ব্রাদারহুড যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। 

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ২৭ অক্টোবর থেকে অপারেশন ১০২৭ শুরু করার পর ১৬টি শহর এবং প্রায় ৫০০টি জান্তা ঘাঁটি দখল করেছে। এ এ প্রতিবেশী চিন রাজ্যের পালেতোয়া শহর এবং উত্তর রাখাইন ও পালেতোয়া টাউনশিপের ১৬০টিরও বেশি সামরিক জান্তা ঘাঁটি এবং ফাঁড়ি দখল করেছে।  

এ এ চলমান তৎপরতা এবং জান্তার পাল্টা আক্রমণ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ভূ-কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটি মিয়ানমার জান্তা সহজে ছেড়ে দেবে না। এ কারণে রাখাইনে শান্তি বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি এ এ’কে বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ  রাখাইন অসম্ভব। সব মিলে বর্তমান রাখাইন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। 

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। এর পাশাপাশি সেখানে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাখাইনে জান্তার চলমান অবরোধের কারণে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের অধিকাংশই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকটে ভুগছে। এএ এবং রাখাইনের জনগণ জান্তার ‘ফোর কাট স্ট্র্যাটেজি’র কারণে মানবিক সংকটে রয়েছে এবং ইউএলএ বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা চাইছে, এই সময় তাদের সহযোগিতা দরকার।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাখাইন রাজ্যে এ এ এবং সরকারি সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অতিরিক্ত ১ লাখ ১১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং এ এ’র মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে ২৬ হাজার এরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

মিয়ানমার বর্তমানে একটি দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনের অন্তত ৬০ শতাংশ এ এ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতি চীন, জাপান ও ভারতের মতো দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। তাই তারাও সেখানে যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। রাখাইন রাজ্যে চীনের গভীর সমুদ্রবন্দর ও গ্যাস পাইপলাইনসহ বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। রাখাইন অঞ্চলে চীন তার স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে গেছে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করার উদ্যোগ এখনো সফল হয়নি। চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিবাদ মান দলগুলোর অগ্রাধিকার তালিকায় না না থাকলেও মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসলে এই সংকট সমাধান যেনো গুরুত্ব পায় সেজন্য এখন থেকেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

এ এ রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা উৎসাহব্যঞ্জক। এ এ’র নেতৃত্বও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছে এবং তারা রোহিঙ্গাদেরকে আরাকানের অধিবাসী মনে করে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জড়িত সব স্টেকহোল্ডারদেরকে মিয়ানমার সরকারের পাশাপাশি এনইউজি এবং  এ এ’সহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা দরকার।

২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে রোহিঙ্গা সংকটের সময় রাখাইন বৌদ্ধসংঘগুলো এবং জনগণ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলো। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তারাই জাতিগত দাঙ্গার সূত্রপাত করেছিলো। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত করতে সেসময় তারা জোরালো আন্দোলন করেছিলো। প্রত্যাবাসন কার্যকরী করতে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা ও ব্যবধান কমাতে হবে। এই সংকট সমাধানে রাখাইন-রোহিঙ্গা সম্পর্ক উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলমান এই সংকট সমাধানের রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ চালিয়ে যেতে হবে।

প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর চাপ, রোহিঙ্গাদের স্থানীয় চাকরি নেয়া এবং সমুদ্রপথে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার মতো চ্যালেঞ্জগুলো বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই কেবলমাত্র এই সংকট সমাধান সম্ভব।

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক অনুদান কমে যাওয়ায় অনেক বিশ্লেষক মনে করে যে, রোহিঙ্গাদেরকে সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করলে তারা মানবিক সহায়তার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল না হয়ে তাদের জীবিকার সংস্থান করতে পারবে। বন্ধুরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো এ ধরনের  প্রশিক্ষণ  ও কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে যাতে রোহিঙ্গারা ভবিষ্যতে মিয়ানমারে ফিরে গেলে এই প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাখাইনের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

এ এ কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত বন্দরনগর পালেতোয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ শহর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-কৌশলগত কারণে রাখাইন রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। চীন এখানে বিপুল বিনিয়োগ করে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল, জ্বালানি সরবরাহ লাইন নির্মাণ করে যাচ্ছে। মিয়ানমারের শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীন ভারত ও আসিয়ান সমন্বিত উদ্যোগ নিলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগ ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। এসব উন্নয়ন কার্যক্রম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে সহায়ক হবে। অপারেশন ১০২৭ পরবর্তী শান্তিপূর্ণ রাখাইন রাজ্য, রাখাইনের রাজনৈতিক দল ও জনগণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক ভুমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথের কাহিনী - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথের কাহিনী সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032038688659668