সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার বাদী ও ভিকটিমকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) এবিষয়ে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সিলেটের পুলিশ কমিশনারের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আবেদনের পক্ষের হলেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি দায়ের করা হয়।
আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী।
তিনি বলেন, বর্তমান আদালতে ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বাদী এ আবেদন করেছেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলো- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছে। গত ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক। মামলাটি বতর্মানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এক গৃহবধূকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস দখল করে জঘন্য এ ঘটনায় দেশে ও বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে একে একে আসামিরা গ্রেফতার হয়।