এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক কিভাবে নেয়া হবে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ক্লাস কবে-কিভাবে, সিলেবাস প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় সে ক্ষেত্রে ১০ মে পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছিল। তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলায় সিলেবাসটি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। ১০ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ৬০ দিন ক্লাস করতে পারবেন। প্রতিদিন ৬টি ক্লাস হিসেবে ৩৬০টি ক্লাস করার সুযোগ থাকছে। এ সময়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ের প্রতিটিতে গড়ে ৩০টি করে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। যদিও প্রতিটি বিষয়ে সমান সংখ্যক ক্লাস দরকার হবে না। এ ৬০দিনে শেষ করা যায় সেভাবেই সিলেবাস পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও একইভাবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ক্লাস করানো হবে। সে হিসেবে পরীক্ষার্থীরা ৮৪ দিন ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। ৮৪ দিনে ৬টি করে ৫০৪টি ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। গড়ে ৪০-৪২টি ক্লাস প্রতি বিষয়ে হবে। সেভাবেই এইচএসসির সিলেবাস তৈরি করা হবে।
ক্লাস পরীক্ষা ও টেস্ট প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে প্রতি বিষয়ে তিনটি করে ক্লাস করতে পারবেন। সপ্তাহের শ্রেণি শিক্ষক এ তিনদিনের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-টেস্ট নেবেন। তবে, এ সময়ে অন্য কোন টেস্ট পরীক্ষা বা সাময়িক পরীক্ষা নেয়া যাবে না। ক্লাস টেস্টের জন্য কোন ফি নেয়া যাবে না।
পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, টেস্ট পরীক্ষা কোন প্রতিষ্ঠান যদি চায় তা ১০ মে ক্লাস শেষ হওয়ার পর জুনে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে নিতে পারবে।
ব্যবহারিক যেভাবে :
মন্ত্রী আরও জানান, মে মাসে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শেষ হওয়ার পর ব্যবহারিক ক্লাসগুলো নিতে পারবে। আর এ জন্যও সিলেবাস কমানো হবে। একইভাবে জুনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শেষ হওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর আগে তাদের ব্যবহারিক ক্লাসগুলো নেয়া যাবে।
অনলাইনে সুবিধা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অনলাইন ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত ক্লাসগুলো অনলাইন প্লাটফর্মে থাকবে। শিক্ষার্থীরা দরকার পড়লে সেগুলো দেখতে পারবেন।