ক্লাস-পরীক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সংস্কারের পর

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বন্যায় দেশের ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৬৮ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত ১৮টি জেলার ৮৫টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম সম্ভব নয় এমন প্রতিষ্ঠান ৯৭৪টি। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭৬টি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, কম্পিউটার ল্যাব, বই কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন- তার সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কার করে পাঠদান উপযোগী করা হবে। প্রয়োজন হলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, বন্যার কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। এখন যত দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাবে তত দ্রুত আমরা প্রস্তুতি সেরে পরীক্ষা গ্রহণের দিকে যেতে পারব। বন্যাকবলিত জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনো সব জেলার তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেক জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষকদের বাড়িতে পানি।

শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী এবং ঢাকা শিক্ষা অঞ্চলে ১৮ জেলার ৮৫টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৬৮ জন। 

সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। পানি সরে যাওয়ার পর বন্যার তা-বের চিহ্ন একে একে বেরিয়ে আসছে। রাস্তা, ফসলের ক্ষেত, বসতভিটার ক্ষত বেরিয়ে পড়েছে। বন্যাপরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কারসহ এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরা।

সাধারণত, বন্যার সময়ে এবং এর পরে খাদ্য, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যেভাবে আলোচনা বা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, শিক্ষা খাতের ক্ষতি বা বন্যাপরবর্তী করণীয় বিষয়ে সেভাবে কোনো আলোচনা বা উদ্যোগ চোখে পড়ে না। অথচ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী এবং পুরো শিক্ষা খাত।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় প্রায় ৩ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ১ হাজার ১৪৮টি বিদ্যালয়। বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৮। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সিলেট অঞ্চল। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই অঞ্চল থেকে ৯৩০টি স্কুলের ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। অনেক স্কুলে পানি উঠেছে। আর মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। বন্যাদুর্গত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055551528930664