গৌরবময় ৭৫ বছরনটর ডেম কলেজের শিক্ষা দর্শন

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : নটর ডেম কলেজের পঁচাত্তর বছর পূর্ণতার এ আনন্দঘন সময়ে সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। পূর্ণতা ও অপূর্ণতার এ স্বপ্নযাত্রায় আমরা পরস্পর এক কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ। আমাদের এ মহামিলন নটর ডেম কলেজকে আরও সামনে বহুদূর এগিয়ে যেতে উজ্জীবিত করবে। এ কলেজ প্রতিষ্ঠায় হলিক্রস সম্প্রদায়ের উদ্যোক্তা ফাদারবৃন্দ যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে এসে যুগোপযোগী, মানসম্পন্ন, উন্নত নৈতিক চরিত্রের জাতি গঠনের লক্ষ্যে প্রথমে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ, পরবর্তী সময় স্থানান্তর করে ঢাকার মতিঝিলে ‘নটর ডেম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিক্ষার দুটি দিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন  ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও।

নিবন্ধে আরো জানা যায়, প্রথম দিকটি হলো সমাজ সভ্যতা তথা মানুষের সমষ্টি উন্নয়নের জন্য কাজ করা। মানুষের সমষ্টিগত জ্ঞান ও বিদ্যা শিক্ষা একত্রিত হয়ে সমাজ ও সভ্যতার বিকাশকে ত্বরান্বিত করা। আর দ্বিতীয় দিকটি হলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এ দিকটি ব্যক্তির আত্ম উন্নয়নের জন্য কাজ করে। ব্যক্তির আচরিত আচরণের উন্নয়ন সাধন করে। এ শিক্ষা শেখায় মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে। আর একজন মানুষ যখন যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে আত্মসত্তার উৎকর্ষ সাধন করে তখন সে শুধু নিজেকে বিত্ত-বৈভবের মধ্যে নিমজ্জিত না করে অপরের জীবনকেও সুন্দর করতে কাজ করে। এ শিক্ষা তখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক থেকে সমষ্টিগত মানুষের কল্যাণার্থে ব্যবহৃত হয়। সমাজ, সভ্যতার উন্নয়ন ও ব্যক্তির সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক গঠন, মূল্যবোধের ইতিবাচক রূপান্তর, সৃজনশীল, সেবাব্রতী, বিদ্যাজ্ঞান অর্জন এবং তা প্রয়োগে নিবিষ্ট ও দক্ষ এবং যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে ১৯৪৯ সালে নভেম্বর মাসে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নটর ডেম কলেজ।

নটর ডেম কলেজ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সংকট নিরসনের জন্য পবিত্র ক্রুশ সংঘের যাজকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঢাকার আর্চবিশপ ও পূর্ব পাকিস্তানের ক্যাথলিক চার্চের প্রধান আর্চবিশপ গ্রেনার, সিএসসি’র মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এ দেশে একটি আধুনিক মিশনারি কলেজ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য হলিক্রস সংঘের ফাদারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তৎকালীন হলিক্রস সংঘের ফাদারদের দ্বারা পরিচালিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের সম্প্রসারণ হিসেবে সেন্ট গ্রেগরি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য এটি ১৯৫৪ সালে মতিঝিলের বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘নটর ডেম কলেজ’। হলিক্রস সংঘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, পোর্টল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, স্টোনহিল  বিশ্ববিদ্যালয় কিংস কলেজসহ সারা বিশ্বে অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে আধুনিক, উন্নত ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে।

নটর ডেম কলেজের শিক্ষা পদ্ধতি একটি দার্শনিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর সেই দার্শনিক ভিত্তিটি তৈরি হয়েছে হলিক্রস সংঘের শিক্ষা দর্শনকে কেন্দ্র করে। এই শিক্ষা দর্শনটি সারা বিশ্বে হলিক্রস সংঘ দ্বারা পরিচালিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় অভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয় বলে আধুনিক ও উন্নত মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশনের জন্য সহায়ক হয়। আর তাই মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।

হলিক্রস সংঘের শিক্ষা দর্শনের মূল প্রবক্তা বিখ্যাত দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও পবিত্র ক্রুশ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার বাসিল অ্যান্থনি মরো। ফাদার  মরোর শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীর নৈতিক, আধ্যাত্মিক, মানসিক ও দৈহিক গঠন, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নীতি এই বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। পৃথিবীকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে ফাদার মরো তার শিক্ষা দর্শনে হৃদয়ের সঙ্গে বুদ্ধির, নীতির সঙ্গে বাস্তবতার এবং ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করেছেন। ফাদার মরো শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করেন। তার মতে ‘সমাজে পণ্ডিত ব্যক্তির চাইতে মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন বেশি।’ তিনি বলেন ‘মূল্যবোধের আলোকে অর্জিত জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যই কেবল সমাজের জন্য কল্যাণকর হতে পারে।’ ফাদার মরো মনে করেন তথ্য, গঠন ও রূপান্তরের মধ্যদিয়ে শিক্ষার উদ্দেশ্য সার্থক হয়। অর্থাৎ শিক্ষার মধ্যদিয়ে একজন শিক্ষার্থী যেমন তত্ত্ব ও তথ্যগত বিষয় সম্পর্কে অবগত হয় তেমনি তার নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও মানসিক গঠন সুদৃঢ় হয় এবং হৃদয়ের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন সংঘটিত হয়। এই পরিবর্তন স্রষ্টার প্রতি গভীর বিশ্বাস স্থাপন করে একজন মানুষকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে রূপান্তরিত করে। তাই তিনি বলেন, আমরা যখন সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্য নাগরিক প্রস্তুত করি তখন তা স্বর্গের জন্য যোগ্য আধ্যাত্মিক মানুষ প্রস্তুত করার শামিল’। এ কারণে নটর ডেম কলেজ পরীক্ষায় ভালো ফলের পাশাপাশি নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করে।

ফাদার মরো মনে করেন ‘হৃদয় ও মনের সূক্ষ্মতম সংযোগ ব্যতীত শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব নয়। তার মতে, শারীরিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক কর্মকাণ্ড, সংগীত এবং শৈল্পিক কর্মকাণ্ড শিক্ষার দিক থেকে অত্যন্ত মূল্যবান। নটর ডেম কলেজ শিক্ষার্থীদের শারীরিক, সামাজিক ও শৈল্পিক কার্যক্রম সম্পর্কে বোধ তৈরি করার জন্য ডিবেটিং ক্লাব, নাট্যদল, আবৃত্তি দল, মিডিয়া ক্লাব, ইয়োগা ক্লাব, ন্যাচার স্ট্যাডি ক্লাব, সায়েন্স ক্লাবসহ চব্বিশটি ক্লাব পরিচালনা করে। এ সকল ক্লাবে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের রুচি ও ইচ্ছা অনুযায়ী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ পায়। যা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি তাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে সে সম্পর্কে মূল্যবোধ তৈরি করে। এই মূল্যবোধ সৃষ্টিই নটর ডেম কলেজের শিক্ষা দর্শনের মূল ভিত্তি।

নটর ডেম কলেজ ধর্ম নিরপেক্ষতা ও বৈচিত্র্যতাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। ছাত্রদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা দেয়। এখানে ধনী-দরিদ্র, জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থী মেধার ভিত্তিতে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকারের  ভিত্তিতে পড়ালেখা করার সুযোগ পায়। এই পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক প্রকার সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করার বোধ জাগ্রত হয় যা তাদের অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও উদার মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। হলিক্রস সংঘের একটি অন্যতম দর্শন হলো বিশ্বকে একটি অভিন্ন মানব পরিবার হিসেবে গণ্য করা। শিক্ষার্থীদের এই উদারনৈতিক শিক্ষা সেই অভিন্ন মানব পরিবারের জন্য কাজ করার প্রেরণা যোগায়।

ফাদার মরোর শিক্ষা দর্শনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক। প্রকৃতপক্ষে ছাত্র-শিক্ষক পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যথাযথ জ্ঞান অর্জনের পথ সুগম হয়। নটর ডেম কলেজ ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় ছাত্র-শিক্ষক কাছাকাছি মেশার সুযোগ পায়। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন সংকট ও দুর্যোগকালে ছাত্র-শিক্ষক একত্রে ত্রাণ সংগ্রহ ও দুর্যোগকবলিত এলাকায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। এ সকল কার্যক্রম একদিকে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে অটুট করে অন্যদিকে ছাত্রদের মানবিক চেতনা বিকশিত করে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি বোধ জাগ্রত করে। নটর ডেম কলেজ একটি পরিবারকেন্দ্রিক চেতনা ধারণ করে। এই চেতনায় প্রশাসক, শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র, পিতামাতা, প্রাক্তন ছাত্র, এমসি’র সদস্যসহ সকল স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এক অভিন্ন পরিবার গঠন করে। এই পারিবারিক মূল্যবোধ ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে যেমন শক্তিশালী করে তেমনি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

নটর ডেম কলেজ তার শিক্ষা দর্শনে শিক্ষকের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কেননা, শিক্ষকগণই শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক গঠনে সহায়তা করেন, তাদের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা, জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা এবং মূল্যবোধের চেতনা জাগ্রত করে। এ কারণে ফাদার মরো শিক্ষকতার পেশাকে ঈশ্বরের আহ্বান বলে অবহিত করেছেন। আর যিনি স্রষ্টার এই আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন তিনিই প্রকৃত শিক্ষক হতে পারেন। ফাদার মরোর দর্শনে একজন শিক্ষকের শ্রদ্ধা, জ্ঞান, সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা, সতর্কতা, গুরুত্ব, নম্রতা, ধৈর্য, বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা এই নয়টি গুণ থাকা আবশ্যক। নটর ডেম কলেজ তার শিক্ষকদের মধ্যে এসব গুণাবলী অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং তাদের আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলার জন্য নিয়মিত সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।

নটর ডেম কলেজ মাতা মেরীর নামে উৎসর্গকৃত একটি প্রতিষ্ঠান। মা যেমন সন্তানকে ভালোবাসেন, আদর-স্নেহ করেন, তিনি যেমন প্রয়োজনে সন্তানকে শাসন করেন এবং চিরকাল বুকের ভেতর আগলে রাখেন তেমনি নটর ডেম কলেজ আদর-স্নেহ ও শাসন- অনুশাসনের মধ্যদিয়ে তার ছাত্রদের নৈতিক মূল্যবোধ, সহনশীলতা, ন্যায়নিষ্ঠা, সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। কেবল তথ্যগত জ্ঞানের প্রতি সীমাবদ্ধ না থেকে সেই জ্ঞানের আলোকে রূপান্তরিত হয়ে পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে শিক্ষার্থীদের সমর্থ করে তোলাই নটর ডেম কলেজের শিক্ষা দর্শনের মূল লক্ষ্য। নটর ডেম কলেজ তার ছাত্রদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির সংস্কৃতির বোধ জাগ্রত করে অভিন্ন মানব পরিবারের জন্য কাজ করার শিক্ষা দেয়। যা তাদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীরা একটি মহৎ স্বপ্ন নিয়ে এই কলেজে পদার্পণ করে। আর নটর ডেম কলেজ তার শিক্ষা দর্শন সুনিপুণ ভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলছে। নটর ডেম কলেজ ৭৫ বছরের ইতিহাসে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা পবিত্র ক্রুশ সংঘ, প্রশাসন, ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নটর ডেম কলেজ দেশ ও জাতি গঠনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- এই প্রত্যাশা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করি।

লেখক: অধ্যক্ষ, নটর ডেম কলেজ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড - dainik shiksha ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি ছাত্রী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি - dainik shiksha ভর্তি পরামর্শ: কলেজ পছন্দ জরুরি মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট - dainik shiksha মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা - dainik shiksha অন্ত*র্বাসে লুকানো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই শেষ পরীক্ষা ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল - dainik shiksha ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, সবাই ফেল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর - dainik shiksha এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025379657745361