বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। দেয়া হবে গুণী শিক্ষক সম্মাননা। সারাদেশ থেকে মোট ১২ জনকে এই সম্মাননা দেয়া হবে। গুণী শিক্ষকরা প্রত্যেকে সম্মাননা হিসেবে দুই লাখ টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদ পাবেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবছর ৫ অক্টোবর সারা দেশে একযোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হবে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন নীতিমালা প্রকাশ করেছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের সাধারণ ও মাদরাসায় ১টি করে মোট ২টি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসা, ১টি মোট ৩টি, কলেজ পর্যায়ের সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসা, ১টি করে মোট ৩টি সম্মাননা পদক।
সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ১টি, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় ১টি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ১টি। সর্বমোট ১২টি সম্মাননা পদক দেয়া হবে। এ ছাড়াও জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি চাইলে বিশেষ প্রয়োজনে সম্মাননার স্তর ও সংখ্যা বাড়াতে-কমাতে পারবে।
নীতিমালায় বলা আরো হয়েছে, দেশের সব উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এই নীতিমালার আলোকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হবে। প্রাথমিক (সমপর্যায়), মাধ্যমিক (সমপর্যায়), কলেজ (সমপর্যায়), মাদরাসা, কারিগরি, সব সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ দিবসটি উদযাপন করা হবে। দিবসটি উদযাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবে।
এ দিবসের উদ্দেশ সর্ম্পকে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে প্রতি বছর ইউনেস্কো ঘোষিত প্রতিপাদ্য অনুযায়ী বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা। জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা ও অবদান সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও গুণী শিক্ষক সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে সকল শিক্ষককে সম্মানিত করা।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অংশে বলা হয়েছে, প্রতিবছর ৫ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হবে। উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে গঠিত কমিটি উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গঠিত সার্চ কমিটি স্ব-স্ব দপ্তর সংশ্লিষ্ট স্তরে অর্থাৎ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি স্তরের প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ৩ জন গুণী শিক্ষকের প্যানেল প্রস্তুত করে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ৩ জন গুণী শিক্ষকের প্যানেল প্রস্তুত করে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।
জাতীয় পর্যায়ে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি উল্লেখিত সার্চ কমিটিসমূহ থেকে প্রাপ্ত গুণী শিক্ষক সম্মাননার প্রস্তাব পর্যালোচনা করে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ১ জন গুণী শিক্ষক চূড়ান্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি স্ব-স্ব দপ্তর সংশ্লিষ্ট স্তরের গুণী শিক্ষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মানদণ্ড প্রস্তাব আকারে পাঠিয়ে স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত মানদণ্ড অনুসরণ করবে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আয়োজনের কমিটি সর্ম্পকে বলা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটি গঠন হবে। এই কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহবায়ক করা হবে।এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ জন করে সদস্য থাকবেন।
আহ্বায়ক একজন প্রতিনিধি মনোনয়ন দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হতে পারেন। এ ছাড়াও কমিটিতে বিদ্যোৎসাহী-শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ২ জন থাকবেন। ১ জন পুরুষ ও ১ জন নারী।
কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়ে ও উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন নিশ্চিত করবে। উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী র্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে। প্রয়োজনে সার্চ কমিটিকে গুণী শিক্ষক মনোনয়নে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। কমিটি এ বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রতিথযশা শিক্ষাবিদরা থেকে অনধিক ৫ জন সদস্য কোঅপ্ট করতে পারবে।