মাধ্যমিক শিক্ষা দক্ষতা ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন ও বেতনভাতা জাতীয় বেতন স্কেলে উন্নীত করা সহ ৫ দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।
শনিবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় শতভাগে উন্নীত করা সহ ৫ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব জসিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীগণ বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পায়। তবে তারা বাড়িভাড়া পায় মাসিক ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পায় মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পায় ২৫ শতাংশ যা অমানবিক। উৎসর ভাতা ও বাড়িভাড়া স্কেল ভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত করলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোন প্রতিনিধি সরকারের কোনো দপ্তরে ডেপুটেশনে না থাকায় তাদের অধিকারের কথা সরকারের কোন মহলে উপস্থাপন ও আলোচনা করা যায় না। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সন্তান শহর ও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে। অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে। ফলে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষার বৈষম্যের অবসান হবে এবং মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট হবে।
১. বৈষম্য নিরসন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত শিক্ষায় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ নিয়োগ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোনো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে প্রদান করা।
২.এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে। বিশেষ করে এমপিভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে ১লা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ইএফটি এর মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।
৩.মাধ্যমিকের স্বতন্ত্র অধিদপ্তর স্থাপনসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে ৷
৪. এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেতন ভাতা ৬নং গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থাকরণ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদেরকে ২টি উচ্চতর গ্রেড -প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করন প্রত্যাশী মহাজোটের অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দীন। অধ্যাপক ড. হানিফ খান, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান, ড. মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ নূরুল ইসলামসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষক নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।