কতিপয় শিক্ষক নেতার লেখার প্রতিবাদে আমি কিছু কথা বলতে চাই। নেতারা পূর্ণাঙ্গ ও শতভাগ উৎসব ভাতার কথা বলেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো উল্লেখ করে তারা বলেছেন, শিক্ষকরা পূর্ণাঙ্গ বা শতভাগ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।
যদিও মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মুল বেতন/বোনাসের নির্ধারিত অংশ/উৎসব ভাতার নির্ধারিত অংশ/বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫/সরকারের সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সাথে অথবা সরকারের নির্দেশনার সাথে মিল রেখে করতে হবে।’
এখানে জ্ঞান পাপী, শিক্ষক নামের কলঙ্ক, ধোঁকাবাজ, মিথ্যুক ও স্বাঘোষিত শিক্ষক নেতারা শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করে শতভাগ উৎসব ভাতার ব্যাখ্যা কিভাবে দিতে পারে? লেখা আছে বোনাসের নির্ধারিত অংশ/উৎসবের নির্ধারিত অংশ/বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ। নির্ধারিত অংশ বলতে কি পূর্ণঙ্গ বা শতভাগ বোঝায় কিনা সে প্রশ্ন নেতাদের কাছে? নীতিমালা অনুসারে এর ব্যাখ্যা পূর্ণাঙ্গ বা শতভাগ বোঝায় না তা সবাই বোঝে। আমার প্রশ্ন বাংলা ভাষায় লেখা এমপিও নীতিমালা পাঠ করে যদি অর্থ না বোঝেন তাহলে তারা কি করে শিক্ষক পদে চাকরি পেলেন? আমার মনে হয় তারা শিক্ষক নন, শিক্ষক পদে কোনোভাবে চাকরি নিয়েছেন মাত্র।
আরও পড়ুন : উৎসব ভাতা ও বদলি : শিক্ষক নেতারা যা বুঝলেন ও বোঝালেন
এসব ধোঁকাবাজি তথ্য ছড়ানোর জন্য শিক্ষক নেতাদের ঘৃণা করি। শুধু নেতাদের না, যেসব শিক্ষক এসব ধোঁকাবাজ নেতাদের বাহবা জানায় এবং ধন্যবাদ জানায় তাদেরকেও ঘৃণা করি।
আমি মনে করি, শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বা শতভাগ উৎসবভাতা দিলে সরকার তা প্রচার করত। তাই, ভবিষ্যতে এ রকম ধোঁকাবাজি তথ্য ছড়ানো বিরত থাকতে শিক্ষকনেতাদের অনুরোধ করছি।
লেখত : আবু বকর সিদ্দিকী, সহকারী শিক্ষক, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]