সারা দেশে শিক্ষক লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক পদত্যাগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। পদত্যাগপত্র বাতিল করে শিক্ষকদের স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ সম্বলিত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। এসব দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ।
আরো পড়ুন: মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি
একইসঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা বিশ্বাস করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা-কর্মী, যাদের সাহসী ও ত্যাগের বিনিময়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিগত সরকারের পতন হয়েছে তাদের কেউই শিক্ষক লাঞ্ছনার মতো অপকর্মে লিপ্ত হতে পারেন না।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ এবং উক্ত পদত্যাগপত্র বাতিলপূর্বক স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ সম্বলিত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। দেশ ও জনগণের অগ্রগতি, উন্নয়ন ও কল্যাণের লক্ষ্যে সরকারের প্রতিটি শুভ পদক্ষেপের সাফল্য কামনা করেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, দাসগুপ্ত আশি, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নূরুন্নাহার, মহিউদ্দিন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, বাহারুল ইসলাম, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রবীর রঞ্জন দাস, আজম আলী খান, নাসরীন নাহার, সাচুল হক, আলমগীর হোসেন খান, আফতাব উদ্দিন, ইসরাত জাহান আলো, ওবায়দুর রহমানসহ শিক্ষক নেতারা।